শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : এবার প্রার্থী নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে সংঘাতের পরিবেশ তৈরী হয়েছে। মালদার কোতোয়ালি ভবন অর্থৎ এ বি এ গণিখান চৌধুরীর বাড়ি পর্যন্ত সেই প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের আঁচ সোমবার পৌঁছে যায়। কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের জেরে নির্বাচনের মুখে কংগ্রেস সঙ্কটে পড়েছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের জেলার নেতাদের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী দফায় দফায় বৈঠকে করেছেন। এই ধারাবাহিক বৈঠকের ফলেই বামেদের সঙ্গে জোট ঘোষণা করেও কংগ্রেস সঠিক সময় প্রার্থী ঘোষণা করতে অতিরিক্ত সময় নিয়েছে। এমন কী সোনিয়া গান্ধীর কাছেও এই কারণে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও আব্দুল মান্নানদের। তাও শেষ রক্ষা হলো না। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, “এই বিক্ষোভে প্রমাণ করছে কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার জন্য চাহিদা তুঙ্গে, তার মানে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।”
এখনও পর্যন্ত ৮৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তবে বিধাননগর ও কাটোয়া বিধানসভার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দলে জট থাকায় এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ওপরে। শনিবার ৩৯জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে এআইসিসি । এআইসিসি-র কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাই রাজ্যের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ওপর অসন্তোষ রয়েছে কংগ্রেস একাংশের কর্মীর।
তবে এই প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপি বা তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণার পর যে ভাবে বিক্ষোভে হচ্ছে তার তুলনায় কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ কিছুই নয়। তাছাড়া এটা কংগ্রেসের ইতিহাস। প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে কংগ্রেসে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ পুরোনো ঘটনা। তবে ইটা ভালো লক্ষণ। কারণ কংগ্রেসের টিকিট পাওয়ার জন্য এই সময়েও প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে । তার মানে কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার চাহিদা তুঙ্গে। এটাতেই প্রমাণ হচ্ছে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমি ২০১৬ সালে যখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তখনও প্রার্থী হওয়ার জন্য এইভাবে প্রতিযোগিতা, বিক্ষোভে হয়নি। ঘটনা চক্রে ২০২১ সালে আমি যখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তখনও বামেদের সঙ্গে জোট হয়েছিল, এবার ২০২১-সালে যখন জোট হয়েছে বামেদের সঙ্গে, তখনও আমিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ২০১৬-র তুলনায় ২০২১-এ কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার চাহিদা বেড়েছে। যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা দলেরই লোক। তাদের বলছি পরিবর্তন চাইলে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের ভোট দিন। আমরা ৯১টি আসন পেয়েছি, তাই সবাইকে প্রার্থী করা যায়নি। তবে ক্ষোভ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এটাই কংগ্রেস।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.