জেড নিরাপত্তা পান অনুব্রত মন্ডল
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের পরামর্শ মেনে ২০১৩ সালের প্রথমদিকে রাজ্যে যে ক'জন তৃণমূল নেতাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকায় ছিলেন অনুব্রত মন্ডলও। বর্তমানে তিনি জ়েড ক্যাটিগরি নিরাপত্তা পান। তাঁকে সর্বক্ষণ ঘিরে থাকেন সশস্ত্র ছ'জন দেহরক্ষী। সেই তালিকায় গত বছরখানেক আগেই চার সশস্ত্র মহিলা রক্ষী যুক্ত হয়েছেন। এবার আরও কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে কেষ্টা মন্ডল।
নিরাপত্তা বাড়ানো হল অনুব্রতের
একেবারে ভোটের মুখে দাপুটে তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা বাড়ল। অনুব্রতের কার্যালয়ের গেটে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। যে বা যাঁরা অনুব্রতর কার্যালয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের ব্যাগ চেক করে তারপরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া তাঁর প্রত্যেকটি সভাতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে বলেই খবর। এছাড়াও অনুব্রতের সঙ্গে যে সমস্ত নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকেন তাঁদের কড়া আরও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে সূত্রের খবর।
কেন জেড নিরাপত্তা পান অনুব্রত মন্ডল
গত বছরখানেক আগে গোয়েন্দা দফতরের এক রিপোর্টের পরেই অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ওই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে অনুব্রত মন্ডলের উপরে হামলা হতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই ছিল। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলার প্রতিটি ব্লকে সভা করছেন অনুব্রত। ওই সব সভায় নিয়মিত অভিযোগ করছেন ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদী নিয়ে এসে বিজেপি জেলায় ঝামেলা পাকাচ্ছে। সম্প্রতি জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের প্রভাব নতুন করে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বীরভূমের ৯টি ব্লক মাওবাদী প্রভাবিত বলে চিহ্নিত। ৭টি ব্লক ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া। এই অবস্থায় অনুব্রত মন্ডলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
বিধানসভা ভোটের, আগে ফের বাড়ল নিরাপত্তা
গত কয়েকদিন আগেই জাকির হোসেনের মতো নেতার উপর হামলা হয়। স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে গুরুতর জখম হন শ্রমমন্ত্রী-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। রাতেই জাকির হোসেনকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সেই থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মন্ত্রী। অস্ত্রোপচারের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে একেবারেই স্পিকটি নট অনুব্রত মন্ডল।