জনতা কার্ফুর বর্ষপূর্তি, করোনার বিরুদ্ধে এই একবছর কীভাবে লড়াই করল দেশ?

একটার পর একটা দিন কাটছে, দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে আজ জনতা কার্ফুর বর্ষপূর্তি। খাতায় কলমে আজকের দিনেই ভারতে শুরু হয়েছিল করোনার বিরুদ্ধে লড়াই। একবছর আগে যখন কারোর জানা ছিল না এই মারণ সংক্রমণ রোখার উপায় কী, সেই সময় দেশজুড়ে জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মন্দা-বেকারত্ব, যেভাবে কাটল এই একবছর

একবছর গড়িয়ে যাওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা প্রতিষেধক বের হয়েছে। টিটাকরণ চলছে দেশে। শুধু তাই নয়, ভিনদেশেও করোনা টিকা পাঠিয়েছে ভারত। তবে একবছর আগে এই পরিস্থিতি ছিল না। কী করে এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলা সম্ভব? তা নিয়ে তখন কাটাছেঁড়া চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এহেন পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশবাসীর উদ্দেশে জনতা কার্ফু পালনের আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে দেশ মন্দার কবলে পড়ে। চাকরি হারান কয়েক লক্ষ মানুষ। পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে প্রাণ হারান কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক।

জনতা কর্ফুর বর্ষপূর্তিতে ফের করোনা আতঙ্ক

২০২০ সালের ২২ মার্চ, প্রথম জনতা কার্ফু হয়েছিল গোটা দেশে। করোনা সংক্রমণ রোখার প্রথম পদক্ষেপ করেছিল ভারত। আবার ২০২১ সালের সেই ২২ মার্চই করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। জনতা কর্ফুর বর্ষ পূর্তিতে সেই আগের অবস্থানের দিকেই এগোতে দেখা যাচ্ছে ভারতকে। হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রণ। মহারাষ্ট্র সহ ৫ রাজ্যের করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক জায়গায় চলে গিয়েছে।

বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে জনতা কার্ফু

জনতা কার্ফু শুরুর আগে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১৫। সেসময় একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল সংক্রমিতের সংখ্যা। বিপদ আঁচ করে তাই আগেভাগেই জনতা কার্ফুর আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চেন ভাঙতে প্রত্যেকে যেন স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়ে দেয়, সংক্রমিতের কাছেপিঠে এলে এই ভাইরাস দ্রুত অন্যের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। সেই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে খুব একটা সময় লাগবে না। একবছর পার করে দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে জনতা কার্ফু এবং লকডাউন নিয়ে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬,৯৫১ জন

এদিকে এরই মাঝে করোনা টিকা বাজারে চলে আসার সময় থেকে কিছুটা হলেও করোনা সংক্রমণের হার কমে। তবে জনতা কার্ফুর একবছর পূর্তির সময় নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। ২০২১ সালের ২২ মার্চ দেশের করোনা সংক্রমণে মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড গড়ল ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ২১২ জন। দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬,৯৫১ জন। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু মহারাষ্ট্রেই গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি। বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনে শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্ট।

দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৫৯,৯৬৭

মাঝে কয়েকটা দিন কিছুটা স্বস্তি দিলেও ফের উর্ধ্বমুখী দেশের করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬,৯৫১ জন। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্র সংক্রমণের শীর্ষে।শুধু মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছেন ৩০,০০০-রও বেশি মানুষ। ১০ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ২১২ জন। দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৫৯,৯৬৭।

Know all about
উদ্ধভ ঠাকরে

More JANATA CURFEW News