ওল্ড ট্র্যাফোর্ড: দেশের জার্সি গায়ে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে ধারাবাহিক ভালো খেলার পুরস্কার। ইংল্যান্ডের অভিজাত কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে ডাক পেলেন জাতীয় দলের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার। আসন্ন রয়্যাল লন্ডন কাপ ২০২১ জন্য তরুণ এই ভারতীয় ক্রিকেটারকে দলে নিল ল্যাঙ্কাশায়ার। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাবটি তাদের নয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ঘোষণা করে। আর সেখানেই আসন্ন রয়্যাল লন্ডন কাপের জন্য শ্রেয়স আইয়ারের ল্যাঙ্কাশায়ারে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ষষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ের জার্সিতে খেলার এলিট লিস্টে নাম লেখাতে চলেছেন আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। এর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার, মুরলি কার্তিক, দীনেশ মোঙ্গিয়ারা ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ারের জার্সিতে খেলেছেন। আগামী ২২ জুলাই থেকে ১৯ অগাস্ট রয়্যাল লন্ডন কাপে খেলতে দেখা যাবে শ্রেয়সকে।
ল্যাঙ্কাশায়ারের তরফ থেকে এদিন টুইটারে লেখা হয়, ‘ভারতের আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ারকে আসন্ন গ্রীষ্মে রয়্যাল লন্ডন কাপের জন্য চুক্তিবদ্ধ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ ১৯৬৮ প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ারে যোগদান করেছিলেন ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। ক্লাবের সহ-অধিনায়কত্বেরও দায়িত্ব সামলেছিলেন প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর ২০০০ ল্যাঙ্কাশায়ের হয়ে খেলেছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০৭-০৯ ল্যাঙ্কাশায়ারের জার্সিতে কাউন্টি খেলেছিলেন ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ।
রেড রোজ শিবিরে যোগদান করতে আগামী ১৫ জুলাই ওল্ড-ট্র্যাফোর্ড পৌছবেন শ্রেয়স। গ্রুপ-পর্বের ম্যাচগুলো খেলতে প্রায় একমাস ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গেই থাকবেন এই তরুণ ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের অভিজাত ক্রিকেট ক্লাবে নাম লিখিয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রেয়স নিজেও। জানিয়েছেন, ‘ইংল্যান্ড ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার একটা লেজেন্ডারি নাম। ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও দীর্ঘ সময়ের।’
‘যে ক্লাবে ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো ক্রিকেটার খেলেছেন সেই ক্লাবের হয়ে আমি দেশের ক্রিকেটের ঐতিহ্য বহন করব ভেবে আমি ভীষণ সম্মানিত বোধ করছি। ওল্ড-ট্র্যাফোর্ড একটা বিশ্বমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আমি মুখিয়ে রয়েছি আমার সতীর্থ এবং সমর্থকদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার বিষয়ে।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.