কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ২০২১ নির্বাচনের ঠিক আগে তুরুপের তাস হয়ে উঠছে বাংলা ভাষা। রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে বোঝাতে ব্যস্ত যে, বিজেপি মোটেই বাঙালির দল না। অন্যদিকে বিজেপিও নিজেদের চূড়ান্ত বাঙালি প্রেমী করে তুলতে মরিয়া। আর সেকারণেই তাঁদের ইস্তেহারে উঠে এসেছে বাংলা ভাষার কথা। রবীন্দ্রনাথের লাইন আওড়াচ্ছেন মোদী! এসবই ঠিক। কিন্তু বিজেপির এই বাংলা ভাষা প্রেম বারেবারে ঠোক্কর খাচ্ছে তাঁদেরই বানান বিভ্রাটে। কখনও রুদ্রনীল নিজে, আবার কখনও এলাকার দলীয় ফেসবুক পেজে। বানান বিভ্রাটে বিদ্ধ বঙ্গ বিজেপি।

সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে বিজেপি বরানগর সাউথ ইস্ট মন্ডল নামক ফেসবুক পেজের একটি পোস্টার। সেই পোস্টারে দেখা গিয়েছে বরানগর বিধানসভার প্রার্থী পার্নো মিত্রর হয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু উক্ত পোস্টারে একেবারে ভুলের ছড়াছড়ি।

পোস্টারে লেখায় লক্ষ্য হয়ে গিয়েছে ‘লখ্য’। পার্নো মিত্র’কে সম্ভাষণ করা হয়েছে ‘মহাশয়’ সম্বোধনে। বরানগর হয়ে গিয়েছে ‘বরাহগার’! সেই ভুল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। তবে পরে অবশ্য ওই পোস্টটি ডিলিট করা হয় ওই পেজের তরফে।

বানানো হয় নতুন পোস্টার। কিন্তু সেখানেও দেখা যায় বানান বিভ্রাট! এবার লেখা হয় ‘জয়যুক্তা’ করুন। অর্থাৎ বিভ্রাট পিছু ছাড়ল না এবারেও। তবে শুধু এমন ফেসবুক পেজের তরফে না। টলিউডের পরিচিত মুখ, সদ্য বিজেপিতে যাওয়া রুদ্রনীলের বানান ভুলের বহর দেখে রীতিমতো হতাশ তাঁর ভক্তরা। কিছুদিন আগে ‘বাঙালি’ বানান নিয়ে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এরপর ফের ‘ইঙ্গিত’ ও ‘আশংকা’ বানান ভুল লিখে বসলেন অভিনেতা। ফলে ফের একবার তাঁর ‘ক্লাস নিলেন’ নেটিজেনরা।

অবশ্য বিজেপির বাংলা বিভ্রাট নতুন কিছু না। এর আগে সহজ পাঠ বিদ্যাসাগরের লেখা, বোলপুর কবিগুরুর জন্মস্থান এমন ভুল করেছেন বিজেপি নেতারা। ফলে একদিকে যখন বিজেপি বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে, ঠিক তখনই সামনে চলে আসছে তাঁদের অহরহ ভুল। ফলে বাংলা ভাষার পিচে ব্যাটটা ঠিক করতে পারছে না বিজেপি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।