বনগাঁ: ভোটের মুখে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির অস্বস্তি কয়েকগুণে বাড়িয়ে দিল মতুয়া সমাজ। মতুয়া সংঘের দাবি মেনে আসন্ন বিধানসভা ভোটে তাঁদের আসন ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণেই ভোটের মুখে এবার দুই দলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে এই সংগঠন।
মতুয়া সংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর নিজেই তাঁর দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে এব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন। একইভাবে বিজেপিকেও তুলোধনা করেছেন তিনি। অন্যদিকে, এই একই অভিযোগ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরেরও। তিনিও মতুয়া সমাজকে আসন না ছাড়ায় বিজেপি-তৃণমূলকে তুলোধনা করেছেন।
আর কয়েকদিন পরেই রাজ্যে শুরু বিধানসভা নির্বাচন। আগামী ২৭ মার্চ রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল মতুয়া সমাজ। গাইঘাটার ঠাকুরবাড়ির অন্দরেও এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। বিধানসভা ভোটের মুখে মতুয়া মন পেতে চেষ্টার কসুর করেনি তৃণমূল ও বিজেপি কোনও পক্ষই। বারবার ঠাকুরবাড়িতে ছুটে গিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা।
ক্ষমতায় ফিরলে মতুয়া সমাজের জন্য ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি সব দলের। তবে এবার ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৩০টি আসন মতুয়া সমাজের জন্য ছাড়ার দাবি তোলে মতুয়া সংঘ। এনিয়ে তৃণমূলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন খোদ মতুয়া সংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর।
অন্য়দিকে, এই একই দাবি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছেও জানিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তবে কোনও দলই তাঁদের সেই দাবিতে আমল দেয়নি। নিজেদের মতো করে দুই দল প্রার্থী ঘোষণার পর প্রচারে ঝড় তুলেছে রাজ্যজুড়ে।
এই আবহেই এবার শাসক ও বিরোধী সব পক্ষেরই অস্বস্তি বাড়াল মতুয়া মহাসংঘ। একুশের ভোটে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মতুয়া সমাজ কোন দলকে সমর্থন করবে এবার সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিজেদের মতো করেই নেবে বলে সাফ জানিয়েছেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুর। ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মতুয়া মহাসংঘের প্রধান সেবায়েত তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.