মহিষাদল : “রবিবার রাজ্য বিজেপি তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। সেই ইস্তেহার হচ্ছে অডিও ক্যাসেটের মতো শুধু শোনা যায়, কাজে কিছু দেখা যায় না। কিন্তু তৃণমূলের ইস্তেহার হচ্ছে সুপার কোয়ালিটি ডিভিডি যা সুন্দরভাবে দেখাও যায় আর শোনাও যায়। ২০১৯ অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো কিন্তু তার বাস্তব রুপ পাইনি।” সোমবার মহিষাদল বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তিলক চক্রবর্তীর সমর্থনে মহিষাদল রাজ ময়দানে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে একথা বলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

পাশাপাশি এদিন তিনি আরও বলেন, “বিজেপির যারা বাংলা দখলের জন্য ঝাপিয়ে পড়েছে সেই সমস্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলা লিখতে পারে না, বাংলা পড়তে জানে না, বাংলা বলতে জানে না। তাঁরা নাকি সোনার বাংলা গড়বে।”

তিনি বলেন, “জিজ্ঞেস করুন ওদের সাত বছরে আজ পর্যন্ত সোনার ভারত হল না কেন? এখন বলছে সোনার বাংলা হবে। মানে দিলীপ ঘোষ গরুর দুধ থেকে সুনা দেবে আর ওই সুনা দিয়ে ওরা সোনার বাংলা তৈরি করবে। শুনে রাখুন একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যিনি বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য, বিনা পয়সায় শিক্ষা, বিনা পয়সায় খাদ্য কেউ দেখাতে পারবে না। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। আরে সোনার বাংলা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন। আর সকাল-বিকেল আসছে আমাদের গালাগালি দিচ্ছে।”

এদিন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের তুলোধোনা করে আরও বলেন, “বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতারা এই যে দিলীপ ঘোষ বলছেন দুয়ারে সরকার আর স্বাস্থ্য সাথী নাকি ভাঁওতা। আর এদিকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোকেরা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করিয়ে বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। এই হচ্ছে বিজেপির অবস্থা। ওরাই যে বলছে আয়ুষ্মান ভারত আপনারা শুনে রাখুন বাংলায় সাড়ে ১০কোটি মানুষ থাকেন। বিজেপি তার মধ্যে এক কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত দিতে চেয়েছিল। মমতা ব্যানার্জি বলেছেন আমার রাজ্যের ১০০% মানুষকেই পরিষেবা দিতে হবে। যদি পরিষেবা দিতে হয় ১০ কোটি মানুষকে দিতে হবে।”

পাশাপাশি তিনি এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, আগে প্রধানমন্ত্রী ২ মিনিট টেলিপ্রম্পটার ছেড়ে বাংলায় কথা বলে দেখাক আর আমি টানা দুঘন্টা কোনও কিছু না দেখে যদি হিন্দিতে বলতে না পারি তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। বাংলায় ঠিক মতো কথা বলতে পারে না, বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে। তা স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে।”

এদিন মহিষাদলের পর তমলুক বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌমেন মহাপাত্রের সমর্থনে তমলুকে র‍্যালিতে অংশগ্রহন করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।