কলকাতা: ২২, মার্চ ২০২০, আজ থেকে ঠিক এক বছর আগের ঘটনা। দেশে একটু একটু করে বাড়ছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। কী করে রোগ মোকাবিলা করা হবে, সে ব্যাপারে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা। করোনা ভাইরাসের চেন ভাঙতে আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে দেশজুড়ে হয়ে ছিল জনতা কার্ফু।

গত বছর ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর পালনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কোনও দরকারি কাজ ছাড়া বাইরে যেতে মানা করা হয়েছিল। রবিবার সকালে একটি টুইটবার্তায় মোদী বলেছিলেন, ‘আর কিছুক্ষণের মধ্যে জনতা কার্ফু শুরু হবে। আসুন, আমরা সবাই এই কার্ফুতে সামিল হই। যা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি যোগ করবে। আমরা এখন যে পদক্ষেপ নিচ্ছি, তা আগামীদিনে সাহায্য করবে। ঘরে থাকুন ও সুস্থ থাকুন।’

সারাদিন নিঝুম-নিস্তব্ধ। রাস্তাঘাটও সুনসান। বিকেল ৫টায় ভেঙেছিল সেই নিস্তব্ধতা। শহর জুড়ে বেজে উঠেছিল কাঁসর-শঙ্খ-ঘন্টা। প্রধানমন্ত্রীর আবেদন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দেশবাসী বুঝিয়ে দিয়েছিলো, করোনার মতো মহামারী রুখতে দল-মত দেখবেন না তাঁরা।তবে সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে অনেকে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। এ নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। তারপর ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে লকডাউন হয়ে যায়। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউনের মেয়াদও বেড়ে যায়।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ, মঙ্গলবার রাতে প্রথম রাজ্যে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি রাজ্য সরকারের এক আমলার ছেলে।বিদেশ থেকে কলকাতায় এলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। এবং ফলাফল পজেটিভ আসে। তারপর আরও কয়েকজনের করোনা পজিটিভ আসে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে লাগাতার প্রচার চালানো হয়। অনেক মানুষ চাকরি হারায়। দেশের অর্থ ব্যবস্থা তলানিতে থেকে।

করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতে থাকে। তার পর শুরু হয় আনলক পর্ব। গত বছর সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের হার হুহু করে বাড়ছিল। জানুয়ারি মাসে দেশজ ভ্যাকসিন এল। সেইসঙ্গে মানুষের মধ্যে অসতর্ক হওয়ার প্রবণতাও বেড়ে গেল। করোনার প্রকোপ আবার বাড়তে শুরু করল। চলতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনা সংক্রমণের হার রোজ লাফিয়ে বেড়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি ৯৩৫৩ নতুন কেস সামনে এসেছিল।

রবিবারের হিসেবে সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন। এরমধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৫৩৫ জন।দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ।ভারতের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর প্রভাব লক্ষণীয় কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে আবার লকডাউন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।