প্রচারে সোনার বাংলা গড়ার ডাক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই হোন কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি ভোটে জিতলে সোনার বাংলা তৈরি করবেন আশ্বাস দিচ্ছেন। পাল্টা তৃণমূল বলছে, ২০১৪-তে দেশের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি কেন সোনার ভারত গড়ে তুলতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা দেশের সব খেরে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ কিংবা কর্নাটককে কেন সোনার করে তোলা যায়নি।
বিজেপির ইস্তেহার সোনার বাংলা
বিজেপি ইস্তেহারেও সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইস্তেহারকে সোনার বাংলা সংকল্পপত্র বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সোনার বাংলায় যুব সমাজ তাদের সম্ভাবনার শিখর জয় করতে পারবে। সমাজের মহিলাদের করে তুলবে রাজ্যের উন্নতির ধ্বজাধারী, সর্বস্তরের মানুষের উন্নততর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সুফল পাবে। এমন এক সোনার বাংলা যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির। সেখানে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা গড়ে না তুলতে পারলে ভারতকে প্রকৃতরূপে আত্মনির্ভর করে তোলা যাবে না।
রাতেই ফেসবুক পোস্ট পরেশচন্দ্র দাসের
রবিবার রাতেই ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ১৭৫৭ - পর থেকে বাংলার যে সোনা চুরি হচ্ছে, সেই ট্রাডিশন চলছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, হয়তো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এমন চুরি -ডাকাতির সাক্ষী থাকবেন। তাই যদি হয়, তাহলে কী করে সোনার বাংলা গড়ব? লেখার শেষে তিনি বলেছেন, এ নেহাতই গিমিক মনে হয়, ধাপ্পা ছাড়া কিছুই নয়।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি
বিজেপি নেতা ওই পোস্ট করার পরেই, তাতে যথেষ্টই লাইক, শেয়ার হয়। তবে তা নিয়ে জেলা কিংবা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জেলা বিজেপি সূত্রে দলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলা হয়েছে।