সামনে থেকে নেতৃত্ব
২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত জিতেছিল রান তাড়া করে আর আজ জিতল প্রথমে ব্যাট করে। ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং নেন শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডসের অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান। পায়ে চোট থাকলেও ব্যান্ডেজ বেঁধে খেলতে নামেন ভারত লেজেন্ডসের অধিনায়ক সচিন তেন্ডুলকর। সেই ছবি আবার টুইটারে পোস্ট করে সচিনের ক্রিকেট নিয়ে প্যাশন, দায়বদ্ধতাকে কুর্নিশ জানান মহম্মদ কাইফ।
ছবি- টুইটার
সচিন ৩০
১২ বলে ১০ রান করে আউট হন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, দলের ১৯ রানের মাথায় হেরাথের বলে বোল্ড হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মারেন বীরু। সাত রানে জয়সূর্যর শিকার হন তিনে নামা এস বদ্রীনাথ। এরপর সচিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন চারে নামা যুবরাজ। পাঁচটি চারের সাহায্যে ২৩ বলে ৩০ রান করে মাহরুফের বলে কট বিহাইন্ড হন সচিন তেন্ডুলকর। ভারত তখন ১০.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৮।
যুবি-পাঠান ঝড়
সেখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ১৮১ রানে পৌঁছাল যুবরাজ সিং ও ইউসুফ পাঠানের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। দুজনেই অর্ধশতরান হাঁকান। চারটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে ৪১ বলে ৬০ রান করে আউট হন যুবরাজ সিং। যুবরাজের এমন ব্যাটিং দেখে উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ টুইটে লেখেন, চেনা ছন্দে যুবরাজকে দেখে দারুণ লাগছে। দুই দলই ক্রিকেট উপভোগ করছে। তবে চাই ভারতই ট্রফি জিতুক। ১৮.২ ওভারে দলের ১৬৩ রানের মাথায় ফেরেন যুবরাজ। তাঁকে আউট করেন বীররত্নে। ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের সাহায্যে ৩৬ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন ইউসুফ পাঠান। একটি ছক্কা-সহ ৩ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ইরফান পাঠান।
এগারোর পুনরাবৃত্তি
২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে এই ফাইনালের তুলনা চলে না। তবুও এগারোর বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মতোই এদিন শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডস পরাস্ত হলো ১৪ রানে। ১৮২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডস তোলে ৭ উইকেটে ১৬৭। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ইউসুফ ও ইরফান পাঠান দুজনেই দুটি করে উইকেট পান। ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে সনৎ জয়সূর্য ৩৫ বলে সর্বাধিক ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। চিন্তক জয়সিংঘে ৪০ ও বীররত্নে ১৫ বলে ৩৮ রান করেন।
ছবি- রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ