কলকাতা: কয়েক মাস একটু কমলেও, ফের ভয়াবহ আকার ধারণ করলো দেশের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশের করোনাগ্রাফ। তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাংলার সংক্রমণ।রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৮৩ জন।যা আগের দিনের থেকে বেশ কিছুটা বেশি।কলকাতার সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। উত্তর ২৪ পরগনাও কম যাচ্ছে না।ভোটের মুখে রাজ্যের উর্ধমুখী করোনাগ্রাফ উদ্বেগে ফেলছে স্বাস্থ্যদফতরকে।
রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৮৩ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার ২০৯ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৯০৩। এদিন মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী ৩ হাজার ৩৮০ জন। এদিন ৮৩ জন বাড়ল সক্রিয়ের সংখ্যা।গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ২৯৮ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫২৬ জন। সুস্থতার রেট হয়েছে ৯৭.৬৪ শতাংশ।
আক্রান্তের হার কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনায় জেলায় যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ১লক্ষ ৩১ হাজার ১০৬। এদিন ১২৫ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় মোট আক্রান্ত ১লক্ষ ২৪হাজার ৪৫৮ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ জন। তারপরেই আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২১ জন বেড়ে হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৮৬। হাওড়ায় আক্রান্ত ৩৬ হাজার ২৩৩। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ জন। হুগলিতে ১৮ জন বেড়ে আক্রান্ত ২৯৮৩২ জন।
করোনার হার বৃদ্ধি রোধে রাজ্যগুলোতে কোভিড বিধি বলবতে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে তলার উপর গুরুত্ব আরোপ করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক শহরে নাইট কার্ফু জারি, নিয়ন্ত্রণবিধি লাগু হয়েছে।এহেন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র থেকে আসা-যাওয়া করা বাস সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ। ভোপাল, ইন্দৌর ও জব্বলপুরে আগামিকাল অর্থাত্ ২১ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের একাধিক শহরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল-কলেজ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.