কল্যাণী: রবিবার ম্যাচ জিতলে ক্ষীণ সম্ভাবনাটা শেষ ম্যাচ অবধি টিকে থাকত। কিন্তু কল্যাণীতে গোকুলাম কেরালার কাছে হেরে আইলিগের আশা ফুরলো মহামেডান স্পোর্টিং’য়ের। দক্ষিণের দলটার কাছে ১-২ গোলে হেরে আইলিগে কলকাতার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে স্বপ্নভঙ্গ সাদা-কালো শিবিরের। অন্যদিকে ম্যাচ জিতে চার্চিল এবং ট্রাউয়ের সঙ্গে সমান পয়েন্টে পৌঁছে আইলিগ জয়ের কিনারে দাঁড়িয়ে গোকুলাম। আগামী শনিবার চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তিম ম্যাচে ট্রাউ’য়ের মুখোমুখি তারা। আপাতত গোলপার্থক্যে শীর্ষে অবস্থান করছে মালাবারিয়ানসরা।

চার্চিল এবং ট্রাউ ম্যাচ ১-১ ড্র হওয়ায় এদিন ম্যাচ জিতে শীর্ষে যাওয়ার সুযোগ ছিল গোকুলামের কাছে। ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের হারিয়ে সেই সম্ভাবনায় সিলমোহর দিল কেরালার ক্লাবটি। অর্থাৎ, টুর্নামেন্টের শেষদিনেই চূড়ান্ত হবে আইলিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন। এদিন ১৫ মিনিটে কর্নার থেকে প্রতিহত হওয়া বলে শিলটন ডি’সিলভার শট উবেদ শরীর শূন্যে ছুঁড়ে প্রতিহত না করলে এগিয়ে যেতে পারত কলকাতা জায়ান্টরা। তবে এর চার মিনিট বাদেই ম্যাচে লিড নেয় গোকুলাম। ১৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে একটি লম্বা বল চেস্ট ট্র্যাপ করে হাফ টার্নে বল জালে রাখেন ডেনিস অ্যান্টউই।

৩৩ মিনিটে গোকুলামের দ্বিতীয় গোলটি প্রতি-আক্রমণের ফসল। এক্ষেত্রে মহামেডান রক্ষণ এবং গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিংও ব্যাপভাবে দায়ী। ফিলিপ আদজার বামপ্রান্তিক ক্রস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিপক্ষ গোলমুখে সোলো রান করেন অ্যান্টউই। এরপর দুই ডিফেন্ডারকে কাঁধে নিয়েই বক্সের মধ্যে দুরহ কোন থেকে গোলে শট নেন তিনি এবং প্রথম পোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিয়ন্তকে নাটমেগে পরাস্ত করেন ঘানা স্ট্রাইকার।

দু’গোলে পিছিয়ে পড়া মহামেডানের জন্য দ্বিতীয়ার্ধে কাজটা আরও কঠিন হয়ে ওঠে। অধিনায়ক পেদ্রো মাঞ্জি গোকুলাম রক্ষণে আটকে যাওয়ায় ফিরে আসা সম্ভবও হয়নি সাদা-কালো ব্রিগেডের জন্য। ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে একটি গোল পরিশোধ হলেও তা যথেষ্ট ছিল না ব্ল্যাক-প্যান্থার্সদের জন্য। তীর্থঙ্কর সরকারের ফ্রি-কিক থেকে হেডে ব্যবধান কমান সুজিত সাধু।

শেষদিকে গোকুলাম রক্ষনে চাপ বজায় থাকলেও দ্বিতীয়বার আর ভুল করেনি মালাবারিয়ানরা। সবমিলিয়ে ২-১ জিতেই খেতাব জয়ের দৌড়ে টিকে থাকে গোকুলাম। একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে শংকরলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।