কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন ২৭ বছরের অরিতা বাবু
এবারে নির্বাচনে আলাপুজা জেলার কায়মকুলাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন ২৭ বছরের অরিতা বাবু। এদিকে নির্বাচনী লড়াই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে শুরুতেই বেশ খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখা যায় অরিতা বাবু। তিনি বলেন, " প্রার্থী তালিকায় আমার নাম প্রকাশ হতে আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। বেশ কিছুটা সময় পর আমি ধাতস্থ হই। এটা আমার গত ১৪ বছরের রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রতি অনেকটা বড় স্বীকৃতি। "
২২ বছর বয়সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়
সূত্রের খবর, অরিতা বাবুর বাবাও দীর্ঘদিন থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই ছোট বেলা থেকে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ। ১৩ বছর বয়সেই কেরল স্টুডেন্টস ইউনিয়নে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে যুব কংগ্রেসের সদস্যও হন। এদিকে এর আগে ২০১৫ সালে ২২ বছর বয়সেই আলাপুজা জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জয়লাভ করেন তিনি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে কংগ্রেস প্রার্থী করার পিছনে রাহুল গান্ধীরই সর্বাধিক মত ছিল বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রার্থী হয়েছেন ১ টাকার আইনজীবীও
অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় অরিতা বাবুর মতো রয়েছে আরও অনেক স্বল্প বয়সী প্রার্থীর নাম। এবারের নির্বাচনে কোল্লাম জেলার ভারালাতেও লড়ছেন ৩২ বছরের শাফার। এলাকায় তিনি ১ টাকার আইনজীবী নামেও পরিচিত। ছোট থেকেই চরম দারিদ্রতার সঙ্গে পড়াশোনার পর পরবর্তীতে নেদুমঙ্গদ কোর্টে আইনজীবী হিসাবে কাজে যোগ দেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন মামলায় গরীবদের একাধিকবার পাশে দাড়িয়েছেন। কার্যত বিনা পারিশ্রমিকেই লড়েছেন মামলা।
পিছিয়ে নেই বামেরাও
অন্যদিকে যুব প্রার্থী দেওয়ার নিরিখে পিছিয়ে নেই শাসক দল সিপিএমও। বাংলার পাশাপাশি কেরলেও এবার তারা যুব ফ্রন্টের একাধিক নতুন মুখকে নির্বাচনী লড়াইয়ে তুলে এনেছে। এমনকী সমগ্র প্রার্থী তালিতায় ৪ জনের বয়স ৩০ বছরের নীচে। তাদের মধ্যে সবথেকে কনিষ্ঠতম প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়তে চলেছেন ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বা এসএফআই সদস্য ২৮ বছরের সচিন দেব। তরুণ প্রার্থী দেওয়ার নিরিখে পিছিয়ে নেই এনডিএও।