দিল্লি ও মুম্বই: দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এতদিন মহারাষ্ট্রে বাড়ছিল করোনার গ্রাফ। এবার তার সঙ্গে পাল্লা দিল দিল্লি। দেশের রাজধানীতে শনিবার ৮১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই বছরের এটিই দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ১২৬ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে এতটা সংক্রমণ বৃদ্ধি দিল্লিতে এই বছর প্রথম। রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৯৫৫ জনের। এখন দিল্লিতে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৩ হাজার ৪০৯। সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৯৭ জন। শুক্র ও শনিবারের মধ্যে মোট ৫৬৭ জন সুস্থ হয়েছেন বলে খবর।

এদিকে মহারাষ্ট্রেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই রাজ্যেই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে। শনিবার ২৭ হাজার ১২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যে। এর ফলে রাজ্যে মোট করেনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছছে ২৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৪৭ জন। শনিবার রাজ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। তবে এদিন সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৮৮ জন। এখও পর্যন্ত ২২ লক্ষ ৩ হাজার ৫৫৩ জম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৯.৯৭ শতাংশ। শনিবার রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের। ফলে মৃতের হার দাঁড়িয়েছে ২.১৮ শতাংশ।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৪০৮ জন। অন্য জায়গায় ৭ হাজার ৯৫৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ১ লক্ষ ৯১ হাজার ৬টি অ্যাকটিভ কেস রয়েছে।
করোনা যে সব জায়গায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে তার মধ্যে মুম্বই অন্যতম। এই রাজ্যে শনিবার ২ হাজার ৯৮২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মুম্বইয়ে এখনও ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফে অডিটোরিয়াম, প্রাইভেট অফিস ও থিয়েটারের জন্য নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। শেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যের থিয়েটার ও অডিটোরিয়াম ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে খুলতে পারত। প্রাইভেট অফিসের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি ছিল। কিন্তু ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এগুলির পাশাপাশি জারি হয়েছে নতুন নিয়ম। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সমাবেশ করা যাবে না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।