দোহা: দোহায় চলতি এশিয়ান অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে টোকিওর মিক্সড ডাবলস ইভেন্টের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি মাত্র কোটা। হারলে দ্বিতীয় কোনও সুযোগ ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই বরাদ্দ একটি কোটার জন্য ফাইনালে যে লড়াইটা সেয়ানে-সেয়ানে হবে সেটা আন্দাজ করা গিয়েছিল এবং হলও তাই। প্রথম দু’টি গেম হেরে পিছিয়ে পড়েও স্বপ্নের প্রত্যাবর্তনে অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করলেন শরথ কমল-মনিকা বাত্রা জুটি। ব্যক্তিগত ইভেন্টের পর শনিবার মিক্সড ডাবলস ইভেন্টে অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেলেন এই ভারতীয় প্যাডলার জুটি।
শীর্ষ বাছাই কোরিয়ান জুটি স্যাং-সু লি এবং জিহি জিয়নের বিরুদ্ধে এদিন ভারতীয় জুটির পক্ষে ম্যাচের ফল ৮-১১, ৬-১১, ১১-৫, ১১-৬, ১৩-১১, ১১-৮। শুক্রবার সিঙ্গাপুরের কোয়েন প্যাং ইয়েউ এন-লিন ইয়ে জুটিকেও ৪-২ ব্যবধানে পরাস্ত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিলেন ভারতের প্যাডলার জুটি। উল্লেখ্য, শীর্ষ বাছাই এই কোরিয়ান জুটিকে প্রি-কোয়ার্টারে হারিয়ে ২০১৮ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন শরথ-মনিকা। সেই ম্যাচের আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই এদিন নেমেছিলেন ভারতীয় জুটি।
তাই প্রথম দু’টি গেম হেরেও দমে যায়নি ভারতীয় জুটি। প্রথম দু’টি গেম হারের পর তৃতীয় গেমে এদিন টানা ৬টি পয়েন্ট সংগ্রহ করে ৯-২ লিড নেয় ভারতীয় জুটি। এরপরে ১০-৫ দাঁড়িয়ে গেম পয়েন্ট তুলে নেন শরথ-মনিকা। চতুর্থ গেমে শুরুটা হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু ৩-৩ অবস্থা থেকে টানা চারটি পয়েন্ট পেয়ে ৭-৩ এগিয়ে যায় বিশ্বের ১৯ নম্বর ভারতীয় জুটি। এরপর দু’পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে আনলেও গেম হাতছাড়া হয় কোরিয়ান জুটির। ম্যাচে সমতা ফেরান শরথ-মনিকা জুটি।
ফাইনালের পঞ্চম গেমটি ছিল সবচেয়ে উত্তেজক। ১০-৯, ১১-১০ ব্যবধানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জোড়া গেম পয়েন্ট নষ্ট করেন কোরিয়ান জুটি। প্রতিপক্ষের সুযোগ নষ্টের ফায়দা তুলে ১৩-১১ ব্যবধানে পঞ্চম গেম জিতে নেয় ভারতীয় জুটি। ষষ্ঠ তথা অন্তিম গেমে ৪-৮ পিছিয়ে থেকে টানা ৭টি পয়েন্ট নিয়ে অলিম্পিক যাওয়ার বিষয়টি পাকাপাকি করেন শরথ-মনিকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দোহায় একইদিনে ব্যক্তিগত ইভেন্টে অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করেন শরথ কমল, জি সাথিয়ান, সুতীর্থা মুখপাধ্যায় এবং মনিকা বাত্রা। দক্ষিণ এশিয়া গ্রুপে যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম ম্যাচে জি সাথিয়ানের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পাক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে টোকিওর ছাড়পত্র পান শরথ কমল।
সাথিয়ান জোড়া ম্যাচ জিতে প্রথমবার নিশ্চিত করেন অলিম্পিক। অন্যদিকে মহিলা সিঙ্গলসে মনিকা বাত্রাকে হারিয়ে অলিম্পিকের সুযোগ পান সুতীর্থা। আর র্যাংকিং’য়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে টোকিও যাওয়া নিশ্চিত হয় মনিকা বাত্রার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.