‘‘দিদির পাশে থাকতেই তৃণমূলে এসেছি।’’
জীবনের একটা নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন নীল এবং তৃণা দুজনেই। কিন্তু কেন তৃণমূল? সেই প্রসঙ্গে দুজনেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, দিদির পাশে থাকতেই তৃণমূলে আসা। এই প্রসঙ্গে তৃণা জানিয়েছেন, মানুষের জন্যে কাজ করাটা প্রয়োজন। আর এমন একটা জায়গা প্রয়োজন ছিল। আর আমরা ভাগ্যবান বলেই এমন একটা জায়গা পেয়েছি বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কার্যত একই দাবি নীলেরও। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই দিদিকে দেখে এসেছি। তাঁর লড়াই দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আর এমন একটা মানুষের ছত্রছায়াকে আসতে পেরে ভালো লাগছে।। আরও কাজ করব। মানুষের জন্যে কাজ করব।
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিয়েতে গিয়েছিলেন মমতা
ফেব্রুয়ারিতেই চার হাত এক হয়েছিল এই মুহূর্তের টেলিভিশনের সবথেকে হিট জুটি নীল এবং তৃণা। তারকা জুটির জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়েও অনুরাগীদের মধ্যে চর্চা ছিল তুঙ্গে। এমনকী বিয়ের দিন বর-কনেকে আশীর্বাদ করতে হাজির হয়েছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দেওয়ায় আপ্লুত হয়ে পড়েন নীল ও তৃণা। কৃতজ্ঞতাও জানান। অর্থাৎ বর-কনে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন জয় করে নিয়েছিলেন, তা সেই মুহূর্তেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এবার ‘দিদিমণি'র হাত শক্ত করতে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করছেন তাঁরা।
বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মিঠুন!
গত কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মিঠুন চক্রবতী। তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়েও জোর জল্পনা রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, জল্পনা থাকলেও প্রার্থী হচ্ছেন না মিঠুন। তবে প্রচারের কাজে লাগতে পারেন তিনি। খুব শীঘ্রই বাংলায় বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার শুরু করতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
প্রেমিকা প্রার্থী বিজেপিতে প্রেমিক!
গত কয়েকদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কৌশানি। তাঁকে এবার প্রার্থীও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বিজেপিতে যোগ দেন বনি। তবে বনি এবার প্রার্থী হননি। তবে মিঠুনের পথেই প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নামতে চলেছেন বনি। তৃণমূলে রাজ, লাভলির মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যোগ দিলেও একাধিক হেভিওয়েট সুপারস্টারও বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে পদ্মশিবিরেই যোগ দিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন তনুশ্রী, যশের মতো হিরো-হিরোইনরা। তবে আগামিদিনে তৃণমূলের প্রচারের মুখ হবেন নীল এবং তৃণা।