কলকাতা : এই প্রথম বার দর্শক পেতে চলেছে অঞ্জন দত্তের ওয়েব সিরিজ। তাও আবার হইচই এর মতো প্ল্যাটফর্মে। ডার্ক মিস্ত্রি আর রহস্যে মোড়া এই গল্পের শুটিং সারলেন অভিনেতা তাঁর সেকেন্ড হোম দার্জিলিং-এ। তবে ভালোবাসার শহরে তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ কিন্তু বেশ ডার্ক।হিংসা,খুন,জখম,রক্তপাত,জটিল মনোস্তত্ব সব মিলে ভয়াবহ এক থ্রিলার নিয়ে ওটিটি-তে আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি। ৯০ এর দশকে এক ফিল্মস্টারের খুন নিয়ে গল্প।
অঞ্জন দত্তের কথায়, ‘মার্ডার ইন দ্য হিলস’ অত্যন্ত সমসাময়িক,তরুণ ও ,জটিল কিছু চরিত্রে ভরা। গল্পটির বুননে পরতে পরতে আছে থ্রিল, হিংস্রতা ,গোপনীয়তা, মিথ্যাচার ও স্ক্যান্ডালের গন্ধ।অতীতের হিংস্রতার প্রভাব পরে বর্তমানে। পাহাড়ে রক্তপাতের এই গল্প যে দর্শকদের শিঁরদাড়ায় একটা ঠান্ডা স্রোত টেনে আনবে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে চিত্রনাট্যের গুণে।
মজার ব্যাপার যেহেতু দার্জিলিং আর অঞ্জন দত্ত প্রায় ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত তাই পরিচালক এমন কিছু জায়গাতে শুটিং করেছেন যা এর আগে এক্সপ্লোর করা হয়নি। তাই একথা বলার অপেক্ষা রাখে না,যে এই ওয়েব সিরিজ দর্শকের কাছে একটা ভিস্যুয়াল ট্রিটও বটে। ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন সন্দীপ্তা সেন, অর্জুন চক্রবর্তী, সৌরভ চক্রবর্তী, অনিন্দিতা বসু, রাজদীপ গুপ্ত, রজত গঙ্গোপাধ্যায়, সুপ্রভাত দাস।
অর্জুন চক্রবর্তী একজন তরুণ, সাহসী এবং উচ্চাভিলাষী তদন্তকারী সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।ও সাংবাদিক যদি মনে করে যে কোনো হত্যা পরিকল্পনামূলকভাবে করা হয়েছে তবে সে তদন্তের শেষ অবদি দেখতে চায়। অনিন্দিতা বোস অভিনয় করেছেন শীলার। শীলা এমন একটি মেয়ে যে হনেস্ট সংবেদনশীল এবং সহানুভূতিশীল।
অঞ্জন দত্তের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, দার্জিলিং-এ শুটিংয়ের সময় একদিন তাড়াতাড়ি প্যাক আপ করার পরে, অঞ্জন দত্ত তাঁদের হোটেলের ছাদে বনফায়ারের আয়োজন করেনা। গান গল্প আড্ডা নস্ট্যালজিয়া মিলেমিশে একটা দারুন সময় কাটান তাঁরা।
অন্যদিকে অঞ্জন দত্তের সাথে কাজ করতে পেরে উচ্ছসিত সন্দীপ্তা। একদিন সকালে আচমকা অঞ্জন দত্তের ফোনে ঘুম ভাঙে সন্দীপ্তার। সন্দীপ্তার কাছে এ যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়া।সন্দীপ্তার চরিত্রের নাম ডা. নিমা প্রধান। কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, কাঁদার দৃশ্যে তাঁকে গ্লিসারিন অবধি ব্যবহার করতে হয়নি। পরিচালক নিজেই এমন কিছু করতেন যে তাতে এমনি চোখে জল চলে আসতো।
সব মিলিয়ে হিংসা খুন অতীত বর্তমানের সংঘাত এসব তো আছেই তার ভিডিও তাবড় তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে জমজমাট হতে চলেছে এই ওয়েব সিরিজ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.