শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : বিহারে করোনা -র সময় নির্বাচন হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও যখন নির্বাচন হচ্ছে তখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে । তার মধ্যে চলছে প্রচার। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন চেষ্টা চালাচ্ছে সতর্কভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। কিন্তু বাস্তব ছবি তুলে ধরছে উল্টো চিত্র।

রোজই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা, মিছিল রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দাপিয়ে চলেছে। সেখানে করোনা বিধি মানা হচ্ছে না সেটাই খালি চোখে ধরা পড়ছে। গা ঘেষাঘেষি করে সভায় মানুষ বসছেন। মিছিল চলেছে সেই একইভাবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীরা দুবেলা যে প্রচার করছেন তাতেও সেই একই ছবি নজরে পড়ছে।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যার তথ্য বলছে রাজ্যে শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৩ জন। শুক্রবার এই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪৭ জন। তাই বলা যায় করোনা রাজ্যে আবার বাড়ছে। শনিবার কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫ জন। আজকের রাজ্যের মধ্যে করোনা অক্রেন্তের সংখ্যার দিক থেকে কলকাতা প্রথম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা । এই জেলায় ৯৯ জন শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন , নির্বাচনী প্রচারের ভিড় সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ। তবে করোনা বিধি কার্যকর করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনও চেষ্টার ত্রুটি নেই। তবে রাজনৈতিক দল গুলির দিক থেকে করোনা বিধি মেনে চলার কোনও সদিচ্ছা সেভাবে নজরে পড়ছে না। সব কটি রাজনৈতিক ডলি সভা, মিছিল, রোড শো করছেন নিজেদের মতো করে। ভিড় দেখে মনে হচ্ছে না করোনা -র দ্বিতীয় ধাক্কা আবার রাজ্যে থাবা বসিয়েছে।
কমিশনের নিয়ম হচ্ছে, বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে ৫জনের বেশি লোক যেতে পারবেন না। রোড শো-র ক্ষেত্রে ৫টি গাড়ির লাইনের পর ৩০ মিনিট সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে। নির্বাচনী সভার ক্ষেত্রে করোনা বিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের ঠিক করে দেওয়া জায়গায় সভা করতে হবে। সভায় দূরত্ব বিধি মানতে হবে। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন নোডাল অফিসার এই ব্যবস্থা নজরদারি করবেন। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে ঠিক এর উল্টোটাই। সভায় উপচে পড়া ভিড় প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে জনগণের জন্য সরকার গড়ার লড়াইয়ে নেমে রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা কেন এতটা উদাসীন হয়ে পড়ছেন। এই দায় শেষ পর্যন্ত নেবে কে?

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।