রেকাভিক : ৪০ হাজার বার কেঁপে উঠল পায়ের নীচের জমি। চমকাচ্ছেন? হ্যাঁ , ঘটনা তেমনই। ঘটনাস্থল আইসল্যান্ডের রাজধানী রেকাভিক। কেন এমন ঘটেছে? জানা গিয়েছে সেখানকার এক আগ্নেয়গিরি থেকে ভয়ঙ্কর লাভা উদ্গিরন শুরু হয়েছে। আর তার জেরেই এমন ক্ষণে ক্ষণেই কেঁপে উঠছে পায়ের তলার জমি। কাঁপুনির সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।

আইসল্যান্ডের রেকাভিক আগ্নেয়গিরি শুক্রবার ভয়ঙ্কর লাভা উদ্গিরন না বলে বিস্ফোরণও বলা যেতে পারে, তা হতে শুরু করে। জানা গিয়েছে এমন সেই বিস্ফোরণ, যে লাভা মাঝে মাঝেই আকাশের দিকে তাক করে ফেটে ফেটে বেরোতে দেখা যাচ্ছিল। এর জেরেই সারা সপ্তাহ ধরে মাঝে মাঝেই অল্প সময়ের জন্য দুলে উঠছে মাটি। গত এক সপ্তাহেই সহস্রাধিকবার কেঁপেছে আইসল্যান্ডের মাটি।

জানা গিয়েছে লাভা উদ্গিরনের স্থল ফাগ্রাদলস্ফল। এটি রেকানেস পেনিনসুলার একটি অঞ্চল যা, রাকধানি রেকাভিক থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। প্রথম লাভা বেরোতে দেখা যায় ২০.৪৫ গ্রিনিচ মিন টাইমে। জানা গিয়েছে দ্বাদস শতকের পর এই প্রথম এই পেনিনসুলায় এমন ভয়ঙ্কর লাভা উদ্গিরন হচ্ছে। লাভা বেরিয়ে কতটা স্থান দখল করেছে তা জানলে আরও চমকাবেন। জানা গিয়েছে প্রায় ২০০টি ফুটবল মাঠ ঢেকে ফেলতে পারে এমন সেই লাভা উদ্গিরন।

এরপরেই সামনে এসেছে সেই ভয়ঙ্কর তথ্য যেখানে দেখা গিয়েছে গত এক মাসে এই আগ্নেয়গিরির অন্দর ও বাইরের বিস্ফোরণের জেরে ৪০হাজার বার দুলেছে এলাকার মাটি। হিসেব বলছে প্রতিদিন এই গত এক মাসে ১হাজার ৩৩৩ বার করে মাটি কেঁপেছে। ২০১৪ পর্যন্ত যা বছরে ১০০০ থেকে তিন হাজার বার হত তা প্রায় প্রতিদিন হয়েছে এই গত এক মাসে। জানা গিয়েছে একটা ৫০০ থেকে ৭৫০ মিটার লম্বা অংশ বাইরে গড়িয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। এও জানা যাচ্ছে লাভা বিস্ফোরণের সময় তা মাটি থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠে আসছিল। সবমিলিয়ে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য তা বলা যেতেই পারে।

ঘটনা স্থলের সবচেয়ে কাছে রয়েছে থোরলসফিন শহর। এটি ওই আগ্নেয়গিরির পশ্চিমে অবস্থিত। স্থানীয়দের বাড়ি থেকে বেরোতে মানা করা হয়েছে। লাভা উদ্গিরনের ফলে এলাকায় ভয়ঙ্কর গ্যাস আসে। তা থেকে বাঁচাবার জন্যই এই সতর্কতা। ঘটনাস্থলের পশ্চিমে এই শহর অবস্থিত এবং বাতাসও ঠিক পশ্চিম দিক দিয়েই বইছে তাই ওই শহরে গ্যাস বেশি পরিমানে আসতে পারে যে মানুষের শরীরের পক্ষে খুব খারাপ। তাই এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এমন ঘটনা ঘটেছিল এই দেশের এইজাফাল্লাওকুল আগ্নেয়গিরির লাভা উদ্গিরনের সময়। ২০১০ সালের ওই ঘটনায় আগ্নেয়গিরিটি ৯লক্ষ বার লাভা উদ্গিরন করেছিল। প্রচুর ধোঁয়া ও ছাই বেরিয়েছিল সেই সময়। এলাকার বহু মানুষকে ঘর ছাড়া করেছিল সেবারের ঘটনা। তবে এবারের লাভা উদ্গিরন অতটা বেশি হয়নি তবে এর প্রভাব মারাত্মক বেশি তাই এতবার ভূমিকম্প হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ভূবিজ্ঞানীরা।

প্রসঙ্গত, আইসল্যান্ডের অবস্থান ইউরেশিয়া ও উত্তর আমেরিকার টেকটনিক প্লেটের ঠিক মাঝে। এই দুটি প্লেটই মাঝে মাঝেই বিপরীত দিকে সরে যায় তাই এখানে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরিতে লাভা উদ্গিরন বেশি হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।