স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : হু হু করে বাড়ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সপ্তাহের শুরুতে যা ছিল ৩৩ ডিগ্রির আশেপাশে তা এখন ৩৬ ছাড়িয়েছে সঙ্গে সকাল থেকে মেঘলা আকাশে হাওয়া নেই। সবমিলিয়ে সকাল থেকেই বিশ্রি গরম অনুভূত হচ্ছে শহরে। অল্প স্বস্তি দিচ্ছে সকালের কম আপেক্ষিক আর্দ্রতা। বেলা বাড়লে তাও উধাও হচ্ছে।

শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস , যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। এতদিন তা তেইশের ঘরে থাকছিল। এবার তা আরও বাড়ল। গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ তাই বেলায় থাকছে ব্যাপক অস্বস্তি। সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান মাত্র ১৮ শতাংশ। যা স্বস্তিদায়ক। তবে এই তারতম্যের জন্য শহরে দিচ্ছে আধো শুষ্ক হাওয়া। ঘামও হচ্ছে আবার তা এমন আর্দ্রতার জন্য মুহূর্তে শুকিয়ে যাচ্ছে।

সপ্তাহের শুরু থেকেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়ছিল কলকাতার আবহাওয়ার উপরে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। সম্প্রতি তা ২৫ ডিগ্রিতেও পৌঁছে গিয়েছিল। অর্থাৎ স্বাভাবিকের থেকে তা প্রায় চার ডিগ্রি বেশি হয়ে গিয়েছিল। এবার সাত সকালে যদি ২১ ডিগ্রির স্বাভাবিক পারদ যদি ২৫ দিয়ে শুরু হয় স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকেই অস্বস্তি শুরু হয়ে যাচ্ছিল। সপ্তাহ শেষেও বিদ্যমান একই আবহাওয়া।

সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। ওই সময়ে সন্ধ্যা থেকে ঠাণ্ডা হাওয়ায় শহরের আবহাওয়াকে স্বস্তি দিচ্ছিল। এখন আর তা হচ্ছে না।

ওই সময় শহরের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান ছিল সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৩৯ শতাংশ। অনেকটা লম্বা ফারাক থাকায় সকালে কিছুটা স্বস্তিদায়ক আবহাওয়া, দুপুরে তা মানুষকে কাহিল করবে বলে জানানো হয়। এখন এই ফারাক আরও বেড়েছে।

মূলত আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঝাড়খন্ডে তৈরি হতে পারে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গকে আপাতত বেশি ভোগাবে শুকনো গরম। সকালে আর্দ্রতা খুবই কম পরে বেলা বাড়লে অস্বস্তি চড়ছে। ফলে ব্যাপক তারতম্য থাকায় জেরেই শুষ্ক গরমে নাজেহাল হচ্ছে রাজ্যবাসী।

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জুড়ে তাপমাত্রা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপে বাইরে না বেরোনোর অনুরোধ করেছে ওই এলাকার স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।

হাওয়া অফিসের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কুড়ি থেকে ৪০এর মধ্যে যাদের বয়স তারা প্রয়োজন হলে বেরোবেন। কিন্তু শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তি, পাশাপাশি যাদের বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তারা যেন একেবারেই রাস্তায় না বের হন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।