তৃণমূলকে ভিতর থেকে দুর্বল করছে বিজেপি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাতে দায়িত্ব নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি। পুরো দায়িত্বটাই রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে অমিত শাহের বাছাই করা একঝাঁক নেতানেত্রীদের ওপরে। ছক কষে দিচ্ছেন তিনি নিজে। অন্যদিকে ভাঙন ধরিয়ে ভিতর থেকে তৃণমূলকে দুর্বল করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও চালু রেখেছে বিজেপি।
ওপিনিয়ল পোলে এগিয়ে তৃণমূল
এখনও পর্যন্ত এবিপি নিউজ এবং সি ভোটার জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে তিনবার ওপিনিয়ল পোলের হিসেবহ সামনে এনেছে। তিনটিতেই বলা হয়েছে আগের বারের থেকে আসন কমবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জয়ী হবেন। সেই পরিস্থিতিতেই জয় নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেছ না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
ওপিনিয়ন পোলে তৃণমূলের আসন বেড়েছে
জানুয়ারিতে কতা ওপিনিয়ন পোলে বলা হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেস ১৫৪ টি থেকে ১৬২ টি আসনে জয়ী হতে পারে। অন্যদিকে বিজেপি পেতে পারে ৯৮ থেকে ১০৬ টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট ২৬-৩৪ টি আসন পেতে পারে। ফেব্রুয়ারির ওপিনিয়ন পোলে তৃণমূল ১৪৮ থেকে ১৬৪ টি পেতে পারে বলে দেখানো হয়েছিল। বিজপি ৯২-১০৮ এবং বাম-কংগ্রেস ৩১-৩৯ টি আসন পেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। মার্চের ওপিনিয়ন পোলে তৃণমূল ১৫০ থেকে ১৬৬ টি আসন পেতে পারে, বিজেপি ৯৮-১৪ এবং বাম-কংগ্রেস ২৩-৩১ টি আসন পেতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে।
মমতা ভয় পাচ্ছেন কেন
এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। এমনটাই জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। কেননা রাজ্যের রাজনীতিতে দ্রুত উত্থান হয়েছে বিজেপির। ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ৪২ টি আসনের মধ্যে ১৮ টিতে জয়লাভ করেছিল। আর ভোটের শতাংশের নিরিখে তৃণমূল ও বিজেপি যথাক্রমে ৪৩.৬৯ শতাংশ এবং ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এই নির্বাচনে কংগ্রেস ৫.৬৭ শতাংশ এবং বামেরা ৬.৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি বিজেপি আগের গতিতে এগোতে থাকে, তাহলে তারা সরকার গঠন করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
নির্বাচনের হাওয়া কোন দিকে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ বলছেন, ওপিনিয়ন পোল ধরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠন করবেন, এটা নিশ্চিত, কিন্তু অপর দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াও রয়েছে বেশ। এই পরিস্থিতিতে যদি বাম-কংগ্রেস জোটের ভোটাররা বিজেপির দিকে চলে যান, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বাবের জন্য মুখ্যমন্ত্রীত্ব অধরাই থেকে যেতে পারে।