নয়াদিল্লি: ভারতের সেনাবাহিনীর ক্ষমতাকে বাড়াতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৪ হাজার ৯৬০টি MILAN-2T অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (Anti-Tank Guided Missiles) কিনতে ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেডের (Bharat Dynamics Limited) সঙ্গে চুক্তি করলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)।এই অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল কিনতে সরকারের খরচ পড়বে ১ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। এই চুক্তিটি ৩ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। ফ্রান্সের থেকে লাইসেন্স পাওয়ার পর ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড ভারতে MILAN-2T অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল উৎপাদন করেছে।
MILAN-2T অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলটি ATGM-এর দ্বিতীয় প্রজন্ম। এটি খুব সহজে সৈন্যবাহিনী বয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। এই মিসাইল স্থলের পাশাপাশি যানবাহন ভিত্তিক লঞ্চার থেকেও নিক্ষেপ করা যাবে।
এই চুক্তিটি মোদী সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। এর আগে ২০১৬ সালেও ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেডেকে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। এটা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হল।
MILAN-2T অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের পরিসীমা ১ হাজার ৮৫০ মিটার। এটি ফ্রান্সের লাইসেন্সের অধীনে বিডিএল দ্বারা উত্পাদিত MBDA মিসাইল সিস্টেম। এই মিসাইল স্থলের পাশাপাশি যানবাহন ভিত্তিক লঞ্চার থেকেও নিক্ষেপ করা যাবে। আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক উভয় কাজের জন্যই অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ভূমিকাতে মোতায়েন করা যেতে পারে এই মিসাইল। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির অন্তর্ভুক্তি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোটি টাকার এই চুক্তি সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হবে। গত বছর থেকে চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরী হয়েছে। এহেনপরিস্থিতিতে ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে চলছে ভারতীয় সেনা। স্থল সেনার পাশাপাশি শক্তি বাড়িয়েছে বায়ুসেনা, নৌ-সেনারও। ফ্রান্স, আমেরিকা থেকে ভারতীয় সমরসজ্জায় যোগ দিয়েছে একের পর একাধিক ঘাত যুদ্ধাস্ত্র। এমতাবস্থায় এবার ভারতীয় সেনার শক্তি বাড়াতে মাঠে নামতে চলেছে বিধ্বংসী রণতরী ধ্রুব। সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষের দিকেই নৌসেনার হাতে আসছে এই অত্যাধুনিক রণতরী।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.