গুয়াহাটি: সিএএ নিয়ে অসমবাসীকে বড়সড় স্বস্তি দিলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার অসমে ভোটের প্রচারে গয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘অসমে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে সিএএ কার্যকর করা হবে না।’’ বাকি চার রাজ্যের পাশাপাশি অসমেও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে রাজ্যজুড়ে প্রচারে ঝড় তুলছে শাসক বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধী কংগ্রেস ও অন্য দলগুলি। দু’দিনের অসম সফরে ঠাসা কর্মসূচি রাহুল গান্ধীর।

অসমেও সরকার পরিচালনা করছে বিজেপি। সিএএ নিয়ে এখনও পুরনো অবস্থানেই অনড় শাসকদল। সিএএ-র প্রতিবাদে একসময় উত্তাল হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। পথে নেমে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় একাধিক রাজনৈতিক দল ও নানা সংগঠনকে। বহু বুদ্ধিজীবীও অসমে সিএএ-র প্রতিবাদে সোচ্চার হন। অসম থেকেই কেন্দ্র-বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে উত্তর-পূর্বের বাকি রাজ্যগুলিতে। এরপর রাজ্যে-রাজ্যে সিএএ নিয়ে প্রতিবাদের সুর চড়া হতে থাকে।

অসম ভোটের আগে প্রচারে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাজ্যবাসীকে এবার ভোটের মুখে সিএএ নিয়ে বড়সড় আশ্বাস দিয়েছেন রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, ‘‘অসমে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে সিএএ হবে না।’’ এদিন অসমের ডিব্রুগড়ে গিয়ে কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন সোনিয়া-পুত্র। এমনকী চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গেও আলাদা করে দেখা করেছেন তিনি। চা শ্রমিকদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। অসমে বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরলে চা শ্রমিকদের জন্য নানা পরিকল্পনার কথা এদিন জানিয়েছেন রাহুল।

চা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস রাজ্যে ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩৬৫ টাকা করা হবে। রাজ্যে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’’ এরই পাশাপাশি মহিলাদের স্বার্থেও একাধিক আশ্বাস দিয়েছেন রাহুল।

অসমে বিধানসভা ভোটের মুখে শাসক-বিরোধী সব দলেরই প্রচারে ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সভা করে গিয়েছেন অসমে। মোদীর অসম সফর নিয়েও এদিন কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অসমে বন্যার সময় মোদিজির দেখা মেলেনি। কিন্তু এখন ওনার ভোটের দরকার। তাই অসমে তিনি বারবার আসছেন।’’

এরই পাশাপাশি এদিন আবারও সিএএ ইস্যুতে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছেন রাহুল গান্ধী। সিএএ-র মাধ্যমে বিজেপি মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ করতে চায় বলে তোপ দেগেছেন রাহুল। ধর্মীয় ভাবাবেগকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করতে চায় বিজেপি, এদিন অসমে ভোটের প্রচারে গিয়ে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।