দুমাসের বেশি সময় ধরে চলছে করোনা টিকাকরণ
এদিকে কেন্দ্রীয় তথ্যানুসারে ইতিমধ্যে গোটা দেশে প্রায় ৭ কোটি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। তারমধ্যে ৩.৫৬ টিকার ডোজও দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। টিকাকরণ চলছে প্রায় দু-মাসেরও বেশি সময় ধরে। অন্যদিকে চলতি মাসের শেষার্ধ থেকেই বাংলা, অসম সহ পাঁচ রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখে জোরকদমে চলছে টিকাকরণের প্রস্তুতি।
ভোটের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হচ্ছে ভিন্ন পরিকল্পনা
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পাশেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের। তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী ক্যাম্পও। এদিকে প্রথম দফায় করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণের পর দ্বিতীয় দফায় ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকা। সেই সঙ্গে ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী কোমরবিডি যুক্ত রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী
এদিকে করোনা দমন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের শুরুতেই টিকাকরণের পরিমাণ বৃদ্ধির উপর বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয় বলে খবর। ওই বৈঠকেই গ্রামীণ ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় টিকাকরণের উপর বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার কথাও বলা হয়। এমনকী টিকাকরণ নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপরেও রাজ্যগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয় মোদীর তরফে।
জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে একাধিক রাজ্যে
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রের বড় অংশজুড়ে রয়েছে গ্রামীণ এলাকা। যেখানেই গত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। এছড়াও তালিকায় রয়েছে বাংলা, বিহারের মতো রাজ্যগুলি। মোদীর নির্দেশের পরেই করোনা টিকাকরণে গতি আনতে নতুন উদ্যোমে ঝাপিয়ে পড়েছে এই রাজ্যগুলি। এমনকী টিকাকরণে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য মানুষের কাছে কী ভাবে পৌঁছানো হবে সেই পরিকল্পনাও তৈরি। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে গ্রামের পাশেই টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।