জীব বৈচিত্রে লুকিয়ে বুড়া চাপড়ি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের আকর্ষণ

শহুরে যান্ত্রিক জীবন, গাড়ির কোলাহল, হাই রাইসে আটকে থাকা চোখ মাঝেসাঝে পরিবর্তন চায়। তাতেই লুকিয়ে থাকে মন ও প্রাণের শান্তি। পরিতৃপ্তির খোঁজে মানুষ ছুটে বেড়ায় আসমুদ্র হিমাচল। তাতে বাকি থেকে যায় অনেক কিছুই। অসমের বুড়া চাপড়ি অভয়ারণ্যও তেমনই ক স্থান যেখানে জীব বৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক শান্তিই মূল আকর্ষণ। ঘুরে দেখতেই পারেন গা ছমছম সবুজ বন।

অবস্থিতি

অসমের শোনিতপুর জেলার অন্যতম আকর্ষণ বুড়া চাপরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। তেজপুর এবং গুয়াহাটি থেকে এই বনাঞ্চলের দূরত্ব যথাক্রমে ৪০ ও ১৮১ কিমি। ৪০.০৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বুড়া চাপরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে সাধারণত ঘাস এবং গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের আধিক্য বেশি।

কীভাবে পৌঁছবেন

দুটি উপায়ে বুড়া চাপরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে পৌঁছনো যায়। কেউ ট্রেন বা বিমানে গুয়াহাটি পৌঁছে সেখান থেকে গাড়িতে পৌঁছে যায় গন্তব্যে। কেউ আবার তেজপুর শহর এক রাত কাটিয়ে সেখান থেকে বুড়া চাপরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে যাওয়ার গাড়ি বুক করেন।

ইতিহাস

১৯৭৪ সালে এই বনাঞ্চলকে সংরক্ষণ করে সরকার। ১৯৯৫ সালে একে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাহাড়ের কোলে যার সৌন্দর্য্য দেখে মোহিত হন পর্যটকরা। বুড়া চাপরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে রয়েছে সাফারির ব্যবস্থাও।

কী কী দেখবেন

প্রাণী - ভারতীয় গণ্ডার, আসামি বানর, চিতাবাঘ, সম্বর, হরিণ, হাতি, উল্লুক, বাদর, বাইসন, শিয়াল।

পাখি - কালো ফিঙে, নীল শির, মাছরাঙা, লক্ষ্মীপেঁচা, রাজহাঁস, টিয়া, চন্দনা, ধনেশ, তিলি হাঁস, গেছোচড়ুই।

যদিও জলবায়ু পরিবর্তন এবং চোরা শিকারিদের দাপটে এই বনে পশুর সংখ্যা আগের থকে অনেক কমে গিয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের।

কোথায় থাকবেন

বুড়া চাপরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের আশেপাশে থাকার উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায়, পর্যটকরা তেজপুরে রাত কাটিয়ে এক বেলার জন্য এই অরণ্য ঘুরে যান। অনেকে গুয়াহাটি থেকে ঢু মারেন এই বনাঞ্চলে।

ছবি সৌজন্য:ইউটিউব

অনলাইন ট্রেডিংয়ের দুনিয়ায় নয়া দিগন্ত খুলে দিচ্ছে এই সংস্থা! হোলিতে রয়েছে একাধিক দুর্দান্ত অফার

ঘন জঙ্গলে বাঘের গর্জন, পালামৌতে যেন এক রহস্য

More TRAVEL News