দোহা: বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত ইভেন্টে নিশ্চিত করেছিলেন টোকিও অলিম্পিকের টিকিট। আর শুক্রবার ভারতের তারকা প্যাডলার জুটি শরথ কমল এবং মনিকা বাত্রা পৌঁছে গেলেন অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জন পর্বের মিক্সড ডাবলস ইভেন্টের ফাইনালে। অর্থাৎ, জুটিতে অলিম্পিক যাওয়ার বিষয়টি থেকে মাত্র এক কদম দূরে শরথ-মনিকা। শুক্রবার সিঙ্গাপুরের কোয়েন প্যাং ইয়েউ এন-লিন ইয়ে জুটিকে ৪-২ ব্যবধানে পরাস্ত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলেন ভারতের প্যাডলার জুটি।
ফাইনালে বিশ্বের ১৯ নম্বর এই জুটি মুখোমুখি হবেন কোরিয়ান জুটি স্যাং-সু লি এবং জিহি জিয়নের। উল্লেখ্য, দুই জুটিই অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করা থেকে এক ধাপ দূরে। ফাইনালে পদস্খলন মানেই স্বপ্নভং। কারণ দোহায় চলতি এশিয়ান অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে টোকিওর মিক্সড ডাবলস ইভেন্টের জন্য বরাদ্দ মাত্র একটি টিকিট। ২০১৮ এশিয়ান গেমসের ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এই ফাইনাল ম্যাচ। যে ম্যাচে কোরিয়ান জুটিকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছিলেন শরথ-মনিকা।
শুক্রবার সিঙ্গাপুরের জুটির বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর প্রথম গেমটি ছিনিয়ে নেন শরথ-মনিকা। কিন্তু পরের গেমে ২০১৮ এশিয়াডে ব্রোঞ্জজয়ীদের হারিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরায় সিঙ্গাপুরের জুটি। তৃতীয় গেম জিতে ফের লিড নেয় ভারতীয় জুটি। চতুর্থ গেমটি জিতে আবার সমতায় ফেরে সিঙ্গাপুর জুটি। কিন্তু এরপর আর প্রতিপক্ষকে সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না শরথ-মনিকা। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ গেম নিজেদের নামে করে ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে নেয় ভারতীয় জুটি। অন্যদিকে ফাইনালে শরথ-মনিকার প্রতিপক্ষ বিশ্বের ৫ নম্বর কোরিয়ান জুটি ৪-২ ব্যবধানে জিতেই নিশ্চিত করেছেন ফাইনাল।
চলতি যোগ্যতা অর্জন পর্বের পর টোকিওর টিকিট পাওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকছে না ভারতের মিক্সড ডাবলস জুটির কাছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দোহায় একইদিনে ব্যক্তিগত ইভেন্টে অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করেন শরথ কমল, জি সাথিয়ান, সুতীর্থা মুখপাধ্যায় এবং মনিকা বাত্রা। দক্ষিণ এশিয়া গ্রুপে যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম ম্যাচে জি সাথিয়ানের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পাক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে টোকিওর ছাড়পত্র পান শরথ কমল।
সাথিয়ান জোড়া ম্যাচ জিতে প্রথমবার নিশ্চিত করেন অলিম্পিক। অন্যদিকে মহিলা সিঙ্গলসে মনিকা বাত্রাকে হারিয়ে অলিম্পিকের সুযোগ পান সুতীর্থা। আর র্যাংকিং’য়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে টোকিও যাওয়া নিশ্চিত হয় মনিকা বাত্রার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.