নয়াদিল্লি: চরম বিরোধিতার মধ্যেই রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল বিমা সংশোধনী বিল। বিরোধিতা এমনই পর্যায় গিয়েছে যে চারবার অধিবেশন মুলতুবি রাখতে হয় এবং অবশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিমা সংশোধনী বিল পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্র।

মোদী সরকার ইতিমধ্যেই বিমা ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ বিদেশি লগ্নি অনুমতি দিতে উদ্যোগী হয়েছে যার জন্য এই সরকার বিমা সংস্থায় বিদেশি মালিকানা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে বিল পেশ করেছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এমন প্রস্তাবের চরম বিরোধিতা করতে দেখা যায় বিরোধী দলগুলিকে। বিরোধীরা দাবি করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এই বিলটি পাঠাতে। তবে সেই দাবি অগ্রাহ্য করা হয়। প্রসঙ্গত যেদিন এই ভাবে বিরোধীদের দাবি অগ্রাহ্য করে বিলটি পাস করানো হলো সেদিন জীবন বিমায় ধর্মঘট চলছে। অবশ্য তার আগের দিন বুধবার ছিল সাধারণ বিমায় ধর্মঘট।গোটা দেশ জুড়ে এই দুদিনের ধর্মঘটে বিমা ক্ষেত্রে ভাল প্রভাব পড়তে দেখা যায়।

তবে তার আগের দুদিন সোম এবং মঙ্গলবার ব্যাংকের ধর্মঘট ছিল।বুধবার এ রাজ্য়ের পাশাপাশি গোটা দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে । ওইসব সংস্থার বিভিন্ন দফতরে কোনও কাজ হয়নি। তাছাড়া বিভিন্ন অফিসের সামনে কর্মীরা জমায়েত হয়ে প্ল্য়াকার ব্য়ানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে । বৃহস্পতিবার আবার ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের বিভিন্ন অফিসেরর সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিমা কর্মীরা।

গত বছরটা করোনা অতি মহামারীর ধাক্কায় রীতিমতো চাপে ছিল অর্থনীতি। বিশেষত রাজকোষের ঘাটতি যেভাবে বাড়ছে তা সামাল দিতে বিলগ্নিকরণের পথের উপর ভরসা রাখতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। বিশেষত কয়েকদিন আগে তাঁর পেশ করা বাজেট ভাষণে তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল। তিনি আয়ের পথ খুঁজতে গিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ করা হবে বলে জানান৷ এছাড়া বাজেটে ব্যাংক বিমা বিলগ্নিকরণের দিকে জোর দিয়েছিলেন। সেদিনের বাজেট ভাষণের সময় তিনি জানিয়েছেন, আইডিবিআই ব্যাংক ছাড়াও দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বেসরকারিকরণ করা হবে। এছাড়া একটি সাধারণ বিমা সংস্থার বেসরকারিকরণ করার পাশাপাশি ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের শেয়ার ছাড়া হবে৷ এছাড়া বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছিল ৷ তখন থেকেই এর বিরোধিতা শুরু করে ব্যাংক এবং বিমার কর্মীরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।