কলকাতা: সম্ভবত বাংলার নির্বাচনে লড়ছে না AIMIM। প্রথম দফার ভোটের আগে হাতে সময় মাত্র সপ্তাখানেক। এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষমা তো দূর অস্ত রাজ্যস্তরে মিমের কোনও বৈঠকই ডাকা হয়নি। উপরন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দল ছাড়ছেন মিমের নেতা-কর্মীরা। দলছাড়া কর্মীদের যাবতীয় ক্ষোভ মিমের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, বাংলার ভোটে লড়াই নিয়ে স্পষ্টভাবে কোনও আলোচনাই এখনও পর্যন্ত করে উঠতে পারেননি মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সেই কারণেই আসন্ন নির্বাচনে ওয়েইসির দল কার্যত লড়ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে সমঝোতা পাকা না হওয়াতেই বাংলার ভোটে লড়াইয়ের ভাবনা থেকে সরে এসেছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

করোনাকালে বঙ্গ-ভোট। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এবার আট দফায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বিহার নির্বাচনে লড়ে সাফল্য পেয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মিম। বিহারে সংখ্যালঘু অধ্যূষিত অঞ্চলে জিতেছেন মিম প্রার্থীরা। বিহারে সাফল্যের পর বাংলাতেও মিম ভোটে লড়বে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

সেই কারণেই এরাজ্যে এসে কয়েকমাস আগে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন ওয়েইসি। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। আব্বাস তখনও নিজের দল গড়েননি। তবে দল গড়ার ভাবনাটা ছিল। সেই সময় ওয়েইসি ও আব্বাস সমঝোতা করে ভোটে লড়বেন বলে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়। এরই মধ্যে আব্বাস সিদ্দিকী ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নামে নতুন দল তৈরি করেছেন।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে লড়াই করবে আব্বাসের দল। বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁঝে নির্বাচনী ময়দানে আব্বাসের আইএসএফ ISF৷ বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা যত এগিয়েছে মিমের সঙ্গে ততই দূরত্ব বেড়েছে আব্বাসের দলের৷ মিম প্রধানের প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে এরাজ্যে তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের।

ভোটের মুখে দলে-দলে নেতা-কর্মীরা মিম ছাড়ছেন। মিম ছেড়ে মূলত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেই নাম লেখাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে অনেকেই আবার মিম প্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ রেখে চলার অভিযোগ তুলেছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।