নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এবার ভগবানের আসনে বসিয়ে দিলেন অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ টাপির গাও। এদিন লোকসভায় অরুণাচল প্রদেশের এই বিজেপি সাংসদ মোদীর ভয়সী প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘ভগবানের এক অবতারের নাম নরেন্দ্র মোদী। তিনিই দেশকে এগিয়ে যাওয়ার দিশা দেখিয়ে চলেছেন।’’ এদিন সংসদে বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের পরেই তাঁকে সমর্থন করে মোদীর স্তুতি গাইতে দেখা যায় আরও অনেক বিজেপি সাংসদকে।
বিজেপি সাংসদের গলায় মোদীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। এবার প্রধানমন্ত্রীকে ভগবানের আসনে বসিয়ে দিলেন এক বিজেপি সাংসদ। অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ টাপির গাও। তিনি মোদীর বরাবরেরই দারুণ ভক্ত। এর আগেও একাধিকবার সংসদ ভবনে মোদীর প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে এই সাংসদকে। তবে এদিন নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসায় মেতে উঠলেন অরুণাচলের এই সাংসদ।
লোকসভায় এদিন মোদীর প্রশংসায় তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের চা শ্রমিকদের জন্য নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চা শ্রমিকদের কল্যাণে প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা কাজ করেছেন তাঁর জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। নরেন্দ্র মোদী ভগবান, আল্লার একজন অবতার।’’ টাপির গাও ছাড়াও এদিন বিজেপি সাংসদ জামিয়াং সেরিং নামগিয়ালও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দারুণ প্রশংসা করেছেন।
করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিচক্ষণতার সঙ্গে একাদিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করেন অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ টাপির গাও। তাঁর কথায়, ‘‘অতিমারী মোকাবিলায় দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি প্রায় একশো দেশকে করোনার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে ভারত। নরেন্দ্র মোদী একজন অবতার। তিনিই দেশের সঠিক প্রধানমন্ত্রী। মোদীজি দেশকে এগিয়ে যাওয়ার দিশা দেখিয়ে চলেছেন।’’
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের চা শ্রমিকদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও বিজেপি বিরোধীদের মতে, এই দুই রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচন শিয়রে। ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তবে বাংলা ও অসমের চা শ্রমিকদের জন্য এক হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ টাপির গাও।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.