কলকাতা: বেহালা পশ্চিমে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারকা প্রার্থীকেই বাজি রাখল বিজেপি। গেরুয়া দলের হয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে লড়বেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। শাসক তৃণমূলের ঘর ভাঙিয়ে একের পর এক বিধায়ক, নেতা ঘরে তুলেছে বিজেপি। এরই পাশাপাশি টলিউডেও এখন গেরুয়া ঝড়। বেশ কয়েকজন তারকা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রাবন্তী৷ তিনি কোন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন? বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এই কৌতূহল ছিল ভক্তদের৷ শেষ পর্যন্ত বেহালা পশ্চিমে বিজেপি-র তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়৷

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে বেলায় নির্বাচনী এলাকায় একটি মন্দিরে পুজো দেন শ্রাবন্তী৷ বলেন, “নিজের পাড়ায় এসেছি। নিজের ছোটবেলাটা আমার এখানে কেটেছে। এখান থেকে আমি বড় হয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে। এই পাড়ার মেয়ে আমি। এখানে এসে খুব খুশি আমি।” তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমি থাকব। তাঁদের জন্য কাজ করতে সচেষ্ট হব। বিপক্ষে হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে জানি। তবে আমি ভগবানকে খুব বিশ্বাস করি। আমি এখানকার মেয়ে। আশা করি এখানকার বাসিন্দারা আমার সঙ্গে থাকবে।”

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই চর্চায় থেকেছেন এই টলি নায়িকা৷ জড়িয়েছেন একাধিক সম্পর্কে৷‌ ২০০৩ সালে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের ছবি দিয়ে টলিউডে অভিষেক হয়েছিল শ্রাবন্তীর৷ খুব ছোট বয়সে সেই রাজীবের সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি৷ ২০১৬ সালে রাজীবের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ ওই বছরই শ্রাবন্তীর জীবনে আসেন মডেল কৃষ্ণ ব্রজ৷ তাঁর সঙ্গেও বেশি সম্পর্ক টেকেনি৷ ছ’মাসের মধ্যেই বিয়ে ভেঙে যায়৷ তার পর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে তৃতীয় বারের জন্য ছাদনাতলায় যান শ্রাবন্তী৷ পাত্র চণ্ডীগড়ের ছেলে রোশন সিং৷

প্রথমে বেশ জমিয়ে সংসার করছিলেন শ্রাবন্তী৷ কিন্তু গত বছর পুজোর সময় থেকেই সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরকে আনফলো করার পর থেকেই বাড়তে থাকে গুঞ্জন৷ অবশেষে ইতি পড়ে সম্পর্কে৷ সোশাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে তুমুল ট্রোলড হন শ্রাবন্তী৷ বারবার সম্পর্ক ভাঙা-গড়া নিয়ে কম কটূক্তি শুনতে হয়নি শ্রাবন্তীকে৷ তবে সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে রোশন সিং মোটামুটি মন্তব্য করলেও, শ্রাবন্তীকে এ ব্যাপারে একেবারেই মুখ খুলতে দেখা যায়নি৷ এদিকে শ্রাবন্তীর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার খবর শুনেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান রোশন৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।