কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ
জানা যাচ্ছে আগামী ২৩ মার্চ বাংলায় আসছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। যদিও দক্ষিণবঙ্গে নয়, এবার ফুলবেঞ্চ উত্তরবঙ্গে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ফুল বেঞ্চের সদস্যদের। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করতে পারেন বলে খবর। চারদিন ধরে বাংলার ভোটের অবস্থা খুঁটিয়ে দেখে ২৮ তারিখ কমিশনের সদস্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। একেবারে ভোটের মুখে ফুল বেঞ্চের বাংলা সফর রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগতে পারে
ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ চলছে। তবে বাহিনী আরও প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার জন্যই ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানালেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। আট দফার জন্য এই পরিমাণ বাহিনী চাওয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দফাতেই এই বাহিনী চেয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। আট দফায় ভোটই রাজ্যের জন্য নজিরবিহীন। আর এই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজিরও নেই রাজ্যে।
বাহিনী মোতায়েনের নকশা তৈরি
ইতিমধ্যে বাহিনীকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে সেই নকশা তৈরি করে ফেলেছেন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। এছাড়াও বাংলার কোন জেলায় কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তার একটা প্রাথমিক নকশা তৈরি করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলে প্রতি বুথেই থাকবে এক সেকসন অর্থাৎ বাহিনীর আট জন করে বাহিনী থাকবে বলে খবর। গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ক্যুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা এবার দ্বিগুন থাকবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য রাখা হচ্ছে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ভোট শেষের পর রাজনৈতিক সংঘর্ষ মোকাবিলা করতে রাখা হবে ৫ কোম্পানি বাহিনী।
আইনশৃঙ্খল ইস্যুতে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত নয়!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাতের ঘটনার পর আরও নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। এরপরেই কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। এই অবস্থায় বাংলায় আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মনে করা হচ্ছে, এই সফরে প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া বার্তা দিতে পারে কমিশন।