সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : দেয়া নেয়া ছবির দৃশ্য নিয়ে একাধিকবার নানা বিষয় নিয়ে মিম হয়েছে। এবার সেই একই ছবির দৃশ্য নিয়ে ডায়লগ বদল চলে এল বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে। রয়েছে বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র টিনটিনের গল্পের একটি দৃশ্যও। মিম করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনাই যে ঘটে বিজেপির প্রার্থী তালিকা বেরনোর পর।
দেখা যায় শিখা মিত্র ও তরুন সাহার নাম, যারা একজন কংগ্রেস ও অপরজন তৃণমূল কংগ্রেসের। যারা দুজনেই জানিয়েছেন কেউ বিজেপিতে যোগ দেননি। তরুন সাহা প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম শুনে অবাক হয়েছেন , ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিখা মিত্র। এ নিয়েই সোশ্যাল মাধ্যমে মিম চর্চা। দেয়া নেয়া ছবির ওই মিমে দেখা গিয়েছে , বিকাশ রায় উত্তম কুমারকে বলছেন , ‘কোথায় যাচ্ছ?’ উত্তরে মহানায়ক বলছেন , ‘বিশুর দোকানে চা খেতে যাচ্ছি’। ছবিতে তাঁর বাবা চরিত্রে অভিনয় করা বিকাশ রায় এরপর বলছেন , ‘বাইরে বেশি ঘুরো না, বিজেপির এজেন্ট ধরে ভোটে দাঁড় করিয়ে দেবে। মা আবার বলছেন , ‘লক্ষ্মীটি খোকা, যাস না, আমার মাথার দিব্যি’। ‘খোকা’ উত্তম কুমার মাথা নিচু করে ওই কথা শুনছেন। অর্থ স্পষ্ট। বলতে চাওয়া হয়েছে, অজান্তেই যখন তখন ধরে নিয়ে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী করে দিতেই পারে। তাই অনেকটা সাবধানী বার্তা যেন। এরপরে এসেছে তিব্বতে টিনটিনের একটি দৃশ্য। যেখানে লামা জন্তুটিকে ক্যাপ্টেন হ্যাডক জিজ্ঞাস করছেন , ‘ও আমার মিষ্টি সোনা, দুষ্টু মনি, বিজেপির প্রার্থী হবি’। শুনেই সেই জন্তুটি হ্যাডকের মুখে থুতু দিয়ে ভরিয়ে দিচ্ছে। অর্থাৎ বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে, বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না তাই যাকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করছে আর তার প্রত্যাখ্যান খুব বিশ্রীভাবে হচ্ছে। এ কাজ যে বিরোধীদের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাম মনস্কও কেউ করতেই পারেন। কে না জানে বাম সমর্থকদের ক্রিয়েটিভিটি অন্যান্য দলের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
প্রসঙ্গত গতকাল দিল্লি থেকে বিজেপি ১৪৮জন প্রার্থীর নামের তালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। চৌরঙ্গী থেকে শিখা মিত্রর নাম বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। টেলিভিশনে এই খবর দেখতে দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিখা মিত্র বলেছিলেন, “আমি কংগ্রেস ঘরানার মানুষ। আমি বিজেপি করি না। আমায় না জানিয়ে আমার নাম এভাবে দিয়ে দেওয়া মোটেই ঠিক, এসব ঠিক হচ্ছে না। আমি কোনও দলের প্রার্থী নয়।”গত ৭ মার্চ, শিখা মিত্রর শুভেন্দু অধিকারী শিখা মিত্রর গিয়েছিলেন। তাঁকে প্রার্থী হবার অনুরোধ করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে শিখা মিত্র বলেন, “আমি শুভেন্দুকে কোনও কথা দিইনি। কেন এভাবে আমার নাম প্রার্থীর তালিকায় চলে এলো বুঝলাম না।”
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “যারা এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন, কথা বলেছেন দলের উচিত তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া আসলে তাঁরা কী বলেছেন এবং শিখা মিত্র কী বলেছিলেন। দল এই নিয়ে পদক্ষেপ করবে বলেও তিনি জানান।” বিজেপির রানাঘাটের সাংসদ ও শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেছিলেন, “দলের প্রার্থী কম পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাই এসব হচ্ছে। কে শিখা মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন? তাঁর কাছে দলের জবাব চাওয়া উচিত।”
এ দিন কাশীপুর- বেলগাছিয়া কেন্দ্রে তরুণ সাহার নাম ঘোষণা করে বিজেপি। মালার সাহার স্বামী তরুণ সাহা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন এমন খবর ছিল না৷ যোগাযোগ করা হলে তরুণ বাবু বলেন, “আমি তৃণমূলে ছিলাম, তৃণমূলেই আছি৷ বিজেপি হয়তো অন্য কোনও তরুণ সাহার নাম ঘোষণা করেছে৷”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.