বিধাননগর পুরো নিগম এলাকার দুটি ওয়ার্ডে সরকারি জমিতে গজিয়ে ওঠা সবকটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিধাননগর পুরো নিগম এলাকায় বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্যের পুরো নগর উন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও বিধান নগর পুরোনিগমের পুর কমিশনারকে আদালতের আরও নির্দেশ, গোটা বিষয়টি তদারকির জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিধান নগর পুরো এলাকার ৩৫, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের যে সকল বেআইনি নির্মাণ রয়েছে সেই বেআইনি নির্মাণ গুলো ভেঙে ফেলতে হবে।
এছাড়াও আদালত স্পষ্টত জানিয়েছে, বিধান নগর পুরো নিগমের অনুমতি ছাড়া কোন নির্মাণ কাজ হবে না। এবং ওই সব এলাকায় বিধান নগর পুরো নিগমের পক্ষ থেকে সরজমিনে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ জুন।
এদিন মামলাকারী সুমন দাসের আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য্য জানান, বিধান নগর পুরো নিগম এলাকা এখন জমি মাফিয়াদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। এলাকার অধিকাংশ জমিই মাফিয়াদের দখলে চলে গিয়েছে। তারাই পরিচালনা করছে কোন জমিতে কি গড়ে উঠবে।
আইনজীবীদের দাবি, সম্প্রতি বিধান নগর পুরো নিগম এলাকায় ৩৫, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জমিতে এগারোটি প্লটে গড়ে উঠেছে বহুতল বেআইনি নির্মাণ। কিন্তু পুরো নিগাম ও প্রশাসন কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ। তাদের কোনো ভূমিকাই নেই।
জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট এ বিষয়ে গত জানুয়ারি মাসে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালে নগর উন্নয়ন দপ্তরের তরফে রিপোর্ট দিলেও পুরো নিগাম কর্তৃপক্ষ রিপোর্টটিতে গাফিলতি করে এদিন আদালতে সেই অভিযোগ আনে আইনজীবীরা। তার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ আদালতের।
আদালত জানিয়েছে, এবিষয়ে কমিশনারকে সচেতন হতে হবে। তারা যদি সচেতন না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজেপির আদি নেতাদের বিদ্রোহ প্রশমনে সঙ্ঘ-শিক্ষার তিন মন্ত্র দিলেন দিলীপ