ঝাড়গ্রাম : ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর তৃণমূল, বিজেপি উভয় রাজনৈতিক দলের কাছে। তাই জঙ্গলমহল এখন নির্বাচনের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ঝাড়গ্রামের বিনপুর ও নয়াগ্রামে শুক্রবার পর পর দু’টো সভা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, “ঝাড়গ্রামে তো ২০১৯ এর লোকসভায় তো বিজেপিকে এনেছেন, আপদে বিপদে তাঁদের পেয়েছেন?” এই প্রশ্ন সভায় উপস্থিত কর্মীদের কাছে করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা থেকে আবারও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন আমরা তো বঙ্গধ্বনি যাত্রায় রাজ্যে তৃণমূল সরকার কী কাজ করেছে তার রিপোর্ট কার্ড মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। নরেন্দ্র মোদী তাঁর ৭ বছরের সরকারের রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছেন না কেন?

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিনপুর ও নয়াগ্রাম-এই দুই জায়গার সভা থেকেই বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজ্যে এসে বলছেন বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবেন। আমি বলি এটা কী দিলীপ ঘোষের কথা মতো গরুর দুধের সোনা দিয়ে সোনার বাংলা বানানো হবে”? এর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও এক ধাপ সুর চড়িয়ে বলেন, “বাংলায় এসে এই সব দিল্লির নেতারা কি ভাবে বাংলায় কথা বলছেন। সোনার বাংলা কথাটাও সঠিক ভাবে উচ্চারণ করতে পারছেন না, বলছেন ‘শুনার বাংলা’ । আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে দিল্লির বহিরাগতরা ভাষণ দিচ্ছেন সেই মঞ্চে তাঁদের পিছনে ফ্লেক্সে বাংলায় কী লেখা আছে সেটা পড়তে পারবেন? আমি টানা দু’ঘন্টা হিন্দিতে কোনও কিছু না দেখে কথা বলতে পারবো। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা টানা দু’মিনিট অর্থাৎ ১২০ সেকেন্ড নির্ভুল বাংলায় কথা বলতে পারবেন? এরা আবার এসেছেন বাংলা দখল করতে। আগে বাংলা বলতে শিখুন, বাংলা দখল পরে করবেন। বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। আবার তৃতীয়বারের জন্য দিদিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।”

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ৭ বছর সরকার চালিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করেছে ? এদিনের সভা থেকে এই প্রশ্ন রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার সভা থেকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর খেলা হবে স্লোগানের পাল্টা বিকাশ হবে, চাকরি হবে বলে তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন সবার ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন। কেউ সেই টাকা পেয়েছেন? নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি দেবেন, চাকরি হয়েছে কারও?” এর পর অভিষেক নিজেই বলেন, “আপনারা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছেন তো? আপনারা কন্যাশ্রীর টাকা পেয়েছেন তো?” উপস্থিত জনতার পক্ষ থেকে উত্তর আসে হ্যাঁ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।