শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : স্মরণকালের মধ্যে কেউ মনে করতে পারছেন না রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণার পর সেই প্রার্থী বলছেন তিনি সেই দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করেই তাঁর নাম প্রার্থী তালিকায় দেওয়া হয়েছে। অথচ এই ঘটনা ঘটেছে বিজেপি-র প্রার্থী তালিকা ঘোষণায়। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে বিজেপি ১৪৮জন প্রার্থীর নামের তালিকা ঘোষণা করেছে। তাতে চৌরঙ্গী থেকে শিখা মিত্রর নাম বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। টেলিভিশনে এই খবর দেখতে দেখতে শিখা মিত্র তাঁর প্রতিক্রিয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিখা মিত্র বলেছেন, “আমি কংগ্রেস ঘরানার মানুষ। আমি বিজেপি করি না। আমায় না জানিয়ে আমার নাম এভাবে দিয়ে দেওয়া মোটেই ঠিক, এসব ঠিক হচ্ছে না। আমি কোনও দলের প্রার্থী নয়।”
এদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বৃহস্পতিবারই প্রশ্ন তুলেছেন, এভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পিছনে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাহুল সিনহাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “যারা এই বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন, কথা বলেছেন দলের উচিত তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া আসলে তাঁরা কী বলেছেন এবং শিখা মিত্র কী বলেছিলেন। দল এই নিয়ে পদক্ষেপ করবে বলেও তিনি জানান।”
একইভাবে বিজেপির রানাঘাটের সাংসদ ও শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেছেন, “দলের প্রার্থী কম পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাই এসব হচ্ছে। কে শিখা মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন? তাঁর কাছে দলের জবাব চাওয়া উচিত।”
গত ৭ মার্চ, রবিবার শিখা মিত্রর বাড়িতে গিয়ে বিজেপি নেতা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী শিখা মিত্রর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে প্রার্থী হতে বলেন। শিখা মিত্র এই কথা জানিয়ে বলেন, “আমি শুভেন্দুকে কোনও কথা দিইনি। কেন এভাবে আমার নাম প্রার্থীর তালিকায় চলে এলো বুঝলাম না।”
এদিকে বিজেপি-র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর শিখা মিত্রকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বৃহস্পতিবারই ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও কংগ্রেসের অবিসংবাদী নেতা প্রয়াত সোমেন মিত্রর স্ত্রীর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার আগে কেন শিখা মিত্রর সম্মতি নেওয়া হলো না সেই প্রশ্ন এখন দলের অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে। পরোক্ষে অভিযোগের তির যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই। কেননা শিখা মিত্রর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীই প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শিখা মিত্র।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.