মুম্বই: মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ২৫ হাজার ৮৩৩ জন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ সংক্রমণে একদিনে দেখা গিয়েছিল আক্রান্ত হচ্ছেন ২৪ হাজার জন, বৃহস্পতিবারের তথ্য সেই রেকর্ড পার করে গিয়েছে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের।
বুধবার মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৩ হাজার ১৭৯ জন। এরপরের দিনই তা বেড়ে গেল আরও আড়াই হাজার। মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রেরও।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট বলছে, দেশে এখন অবধি টিকা দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৭১ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৫৫ জনকে। খুব শীঘ্রই এই সংখ্যাকে ৪ কোটিতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দেশে এখন অবধি করোনা টেস্ট করা হয়েছে ২৩ কোটির বেশি। পরীক্ষার সংখ্যা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা খতিয়ে দেখছে মন্ত্রক।
মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাতে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। দেশজুড়ে যত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত তার মধ্যে এই পাঁচ রাজ্য থেকে আক্রান্ত হয়েছে ৭৯.৫৪ শতাংশ। এছাড়া এই ৫ রাজ্য ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি এবং হরিয়ানাতেও সংক্রমণ বাড়ছে।
আরও খবর পড়ুন – করোনা আক্রান্ত শেফ সঞ্জীব কাপুর, অভিনেতা সতীশ কৌশিক
গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে কেন্দ্রের তরফে একটা টিম পাঠানো হয়েছিল। কেন মহারাষ্ট্রে দ্রুতহারে এই সংক্রমণ বাড়ছে তা দেখতেই ওই রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দলটি। তাঁদের রিপোর্টে বলা হয়, মহারাষ্ট্র করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সূচনায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
মুম্বইতে সংক্রমণ রোধে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা বলা হচ্ছে। জুহু বিচ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়ক অমিত সতম। করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তাহান্তে বিচ বন্ধ রাখার আবেদন করেছেন তিনি। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও পাকাপাকি সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।
রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কীভাবে লাগাম টানা যায়, তা ভেবে ঘুম ছুটেছে উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় সম্পূর্ণ কোথাও বা আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে তা করেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোখা যাচ্ছে না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.