কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ভবানীপুর কেন্দ্রে তারকা প্রার্থীর উপরেই ভরসা রাখল বিজেপি। গেরুয়া দলের হয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়বেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷
জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। শাসক তৃণমূলের ঘর ভাঙিয়ে একের পর এক বিধায়ক, নেতা ঘরে তুলেছে বিজেপি। এরই পাশাপাশি টলিউডেও এখন গেরুয়া ঝড়। বেশ কয়েকজন তারকা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এক সময় যাঁরা তৃণমূলে ছিলেন এমনও বেশ কয়েকজন তারকা এবার বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যেই একজন অভিনেতা হলেন রুদ্রনীল ঘোষ৷ রুদ্রনীলের কেরিয়ারে বারবার পরিবর্তন হয়েছে রাজনীতির নানা রং। কখনও তিনি ছিলেন লাল, কখনও তিনি ঝুঁকেছেন সবুজে, আবার এখন তিনি গেরুয়া।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৪ সালের পর সেই ঘনিষ্ঠতা আরও গাঢ় হয়। রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদের সভাপতির পদে বসানো হয় তাঁকে। ২০১৫ সালে রাজ্য সরকারের জনপরিষেবা অধিকার কমিশনারও করা হয়েছিল রুদ্রনীলকে। যদিও রাজ্যের তৎকালীন কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়। সেই পদ থেকে অপসারণও করা হয় পরে। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রুদ্রনীলের তৃণমূল ঘনিষ্ঠতায় ছন্দপতন হয়।
এ বছরের গোড়াতেই পাকাপাকি ভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন অভিনেতা। প্রথম থেকেই প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বারেবারেই শোনা যাচ্ছিল তাঁর নাম। প্রথমে শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীল হাওড়ার শিবপুর থেকে প্রার্থী হবেন৷ যেহেতু তাঁর জন্মস্থান, তাই টিকিট পেলে সেখান থেকেই ভোটে লড়ার তাঁর প্রবল সম্ভবনা ছিল। তবে শেষমেশ টিকিট পেলেন ভবানীপুরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছেন। আর ভবানীপুরের তৃণমূল দাঁড় করিয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিচক্ষণ প্রবীণ নেতাকে। বলে রাখি ২০১১ সালে উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মমতা। ২০১৬-তেও তিনি ভবানীপুর থেকে জয়ী হন। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রুদ্রনীল বলেছেন, ‘হেরে যাবেন নিশ্চিত জেনেই দিদি কেন্দ্র ছেড়ে পালিয়েছেন। এই কেন্দ্রের অবস্থা দিদি নিজের হাতে খারাপ করে দিয়েছেন।’প্রতিপক্ষ, প্রবীণ তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “নিজের কৃতকর্মের অভিশাপ যাতে তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সহ্য করতে না হয়, সেই বিষটা পান করার জন্য শোভনদেববাবুর ভালমানুষির সুবিধা উনি নিলেন।”
রুদ্রনীলের তারকা ইমেজ নাকি পাড়া সেন্টিমেন্ট– ভবানীপুরের হাইভোল্টেজ খেলায় কে জিতবে, তা জানা যাবে আগামী ২ মে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.