নয়াদিল্লি: রিপড জিন্স নিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে সোচ্চার গোটা দেশ। এবার গর্জে উঠলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বৃহস্পতিবার তিনি ‘‌রিপড জিন্স বিতর্ক’‌ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (‌আরএসএস)‌ প্রধান মোহন ভাগবতের খাঁকি শর্ট পরার কোলাজ করা ছবি ট্যুইট করে তিনি বলেন ‘ হে ভগবান! এদের হাঁটু দেখা যাচ্ছে’।

প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত সম্প্রতি যুব সমাজের আজব ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে, ছেঁড়া জিন্স পড়ে হাঁটু দেখিয়ে যুবসমাজ ভারতীয় সংস্কৃতিকে অপমানের পাশাপাশি তাঁরা নিজেদের মূল্যবোধের বিসর্জন দিচ্ছে। এমনকি এক অনুষ্ঠানে রাওয়াত তাঁর বিমানে পাশের আসনে বসা যাত্রীর পোশাকের বর্ণনাও দেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাওয়াতের বিরুদ্ধে ঝড়ের বেগে পোস্ট হতে শুরু করে। মহিলারা রিপড জিন্স পড়ে ছবি পোস্ট করতে থাকেন।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল জানিয়েছেন যে, তিনি রাওয়াতের মন্তব্য শুনে হতভম্ব। উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস প্রধান প্রিতম সিংও রাওয়াতের মন্তব্যকে ‘‌লজ্জাজনক’‌ বলে অ্যাখা দেন এবং মহিলাদের কাছে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে তিনি দাবি করেন।

“পোশাকের মাধ্যমে পরিচয় এবং সংস্কৃতি সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষুদ্র মানসিকতার পরিচায়ক।মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য মানসিকতা পোষণ করা এমন কাউকে কি বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো যেতে পারে? “বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবরি দেবী ট্যুইট করে বলেছেন।

শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি রিপড জিন্স পরে বই পড়ছেন। এবং রিপড জিন্স হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তিনি লেখেন, ‘‌দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নির্ধারণ করে দেবেন পুরুষরা, যাঁরা বসে বসে মহিলা ও তাঁদের পছন্দের বিচার করবেন। চিন্তা পরিবর্তন করুন মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াত জি, তবেই দেশ বদলাবে।’

অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে সুর ছড়িয়েছে বলিউডও। অভিনেত্রী গুল পনাগ আয়নায় তাঁর সেলফি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি রিপড জিন্স পরে রয়েছেন। অন্যদিকে অমিতাভের নাতনি নব্যা নাভেলি নন্দাও নিজের রিপড জিন্স পরা ছবি পোস্ট করে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের মানসিকতা বদল করার পরামর্শ দিয়েছেন। ‌

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।