আইপিএলের সুফল
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০-তে তিনে প্রথমবার ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত অর্ধশতরান করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ঈশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব। তাঁদের প্রশংসা করে সচিন বলেন, এই দুজনেই ভারতীয় দলে খেলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছেন আইপিএলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে। আমি সব সময় মনে করি, আইপিএল শুরু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। আইপিএলে বিশ্বের তাবড় তারকাদের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ মিলছে। আমরা যখন খেলতাম তখন সেই সুযোগ ছিল না। তাই ওয়াসিম আক্রম বা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে শেন ওয়ার্ন, ক্রেগ ম্যাকডারমট বা মার্ভ হিউজদের বিরুদ্ধে খেলেছি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই। কিন্তু আইপিএলে নামি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা বা তাঁদের বিরুদ্ধে খেলে, নিজেদের সমৃদ্ধ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই অভিজ্ঞতা সম্বল করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ক্রিকেটাররা নামছেন বলেই মত সচিনের।
সূর্যকুমারের প্রশংসা
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ খেলতে এখন রায়পুরে রয়েছেন সচিন। সচিনের ভারত লেজেন্ডস ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। মুম্বইকর সূর্যকুমার যাদবের প্রশংসা করে সচিন বলেন, আমি গতকালের খেলা দেখেছি। জোফ্রা আর্চার বা বেন স্টোকসদের বিরুদ্ধে সূর্যকুমার এমন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে পেরেছেন আগে আইপিএলে তাঁদের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায়। বেন স্টোকস, জোফ্রা আর্চাররা রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন। সূর্যকুমার তাঁদের বিরুদ্ধে খেলেছেন। ঈশান কিষাণও। তাঁরা জানেন বোলাররা কী করতে পারেন। সেইমতো তাঁরাও নিজেদের পরিকল্পনা প্রয়োগ করতে পারছেন। আমি তো বলছি, সূর্য ও ঈশান দুজনেই জাতীয় দলে খেলার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছেন। আর সেটা আইপিএলেরই সুফল।
শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চ
ভারতীয় দলের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি দেখেও আশ্বস্ত মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি বলেন, ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চ যে খুবই শক্তিশালী তা চলতি সিরিজে আরও একবার স্পষ্ট হলো। এটা খুবই স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা যে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়ার মতো এতো ক্রিকেটার এখন তৈরি রয়েছেন।
উপভোগ করছেন
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলা, জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা তিনি নিজেও খুব উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন ভারত লেজেন্ডসের অধিনায়ক। সচিন বলেন, ড্রেসিংরুমে ফিরতে পারা এক বিশেষ অনুভূতি। কে কোন দেশের, কোন ধর্মের, বর্ণের, কার কত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স খেলাধূলার ক্ষেত্রে তা বিচার্য নয়। কে কেমন খেলছে সেটাই আসল কথা। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি, সেটাই আমাদের কাছে গর্বের ব্যাপার।
পথ নিরাপত্তা সচেতনতা
রবিবার রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের ফাইনাল। পথ নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে ছটি দেশ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সচিন। স্কুটি, স্কুটার, বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরা, গাড়ি চালানোর সময় সিট বেল্ট বাঁধা, সিগন্যাল না ভাঙা-সহ বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতেও আহ্বান জানান সচিন। তিনি বলেন, প্রতি বছর লাখ দেড়েক মানুষ আমাদের দেশে পথ দুর্ঘটনায় প্রতি বছর মারা যান। বিশ্বে সংখ্যাটা ১.৩৫ মিলিয়ন। এর ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনায় দেখা যায় হেলমেট না পরে বা সতর্কতা অবলম্বন না করে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে মানুষ বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। প্রাণহানি বা দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতার বার্তা দিতেই প্রতি দেশের ক্রিকেটাররা এই সিরিজে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সচিন।
ছবি- রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ