বার্মিংহ্যাম: অল ইংল্যান্ড ওপেনে বৃহস্পতিবার ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটল ভারতীয় শাটলারদের। রাউন্ড অফ ১৬-তে জয় পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেন লক্ষ্য সেন, পুসারলা ভেঙ্কট সিন্ধু এবং অশ্বিনী পোনাপ্পা-সিক্কি রেড্ডি জুটি। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই পুরুষ সিঙ্গলসে লক্ষ্য সেনের শেষ আটে পৌঁছনোর বিষয়টি।

১৯ বছর বয়সে কেরিয়ারের প্রথম সুপার ১০০০ ব্যাডমিন্টন ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেন উত্তরাখন্ডের এই শাটলার। একইসঙ্গে দেশের কনিষ্ঠ শাটলার হিসেবে অল ইংল্যান্ড ওপেনের কোয়ার্টারে পৌঁছে ইতিহাস গড়লেন লক্ষ্য। ইতিহাস গড়ার পথে টুর্নামেন্টের অবাছাই ফরাসী শাটলার থমাস রক্সেলকে এদিন ২১-১৮, ২১-১৭ গেমে পরাজিত করেন ১৯ বছরের শাটলার। অন্যদিকে মহিলা সিঙ্গলসের দ্বিতীয় রাউন্ড বা প্রি-কোয়ার্টারে বিশ্বের ৪৫ নম্বর ডেনমার্কের লাইন ক্রিস্টোফারসেনকে অবলীলায় হারালেন বিশ্বের ৭ নম্বর পিভি সিন্ধু। কোয়ার্টারে পৌঁছতে এদিন মাত্র ২৫ মিনিট খরচ করেন তিনি।

কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে ড্যানিশ প্রতিদ্বন্দ্বীকে হায়দরাবাদি শাটলার হারালেন ২১-৮, ২১-৮ ব্যবধানে। তবে কোয়ার্টারে জাপানের আকানে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে বড় পরীক্ষা অলিম্পিক রুপোজয়ীর। শেষ তিনটি সাক্ষাতে জাপানি প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে জয় নেই সিন্ধুর। জাপানের কেন্তো মোমোতার কাছে হেরে পুরুষ সিঙ্গলস থেকে এদিন ছুটি হয়ে গেল এইচ এস প্রণয়ের। চোখের অস্ত্রোপচারের পর এটাই প্রথম টুর্নামেন্ট মোমোতার। প্রণয়কে বিশ্বের পয়লা নম্বর হারালেন ২১-১৫, ২১-১৪ ব্যবধানে।

পুরুষ সিঙ্গলসের অন্য ম্যাচে ডেনমার্কের ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের বিরুদ্ধে প্রথম গেম জিতলেও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় গেমে হেরে ছিটকে গেলেন বি সাই প্রনীথও। তবে মহিলাদের ডাবলসে লক্ষ্য এবং সিন্ধুর মতোই কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছেন অশ্বিনী পোনাপ্পা এবং সিক্কি রেড্ডি জুটি। বুলগেরিয়ার গ্যাব্রিয়েলা স্তোয়েভা-স্তেফানি স্তোয়েভা জুটিকে মাত্র আধঘন্টার সামান্য কিছু বেশি সময়ে ২১-১৭, ২১-১০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে ভারতীয় জুটি।

তবে পুরুষ ডাবলসে দ্বিতীয় রাউন্ডের অভিজ্ঞতা সুখের হল না সাত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি-চিরাগ শেট্টি জুটির। ডেনমার্কের কিম অ্যাসট্রাপ এবং আন্দ্রেস স্কারাপ জুটির কাছে তিন গেমের লড়াইয়ে হার মানল ভারতীয় জুটি। ভারতীয় জুটির বিপক্ষে ফল ১৬-২১, ২১-১১, ১৭-২১।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।