কর্নাটকেও বাড়ছে করোনা প্রকোপ, ৫৯ জন আক্রান্ত নিয়ে কন্টেইনমেন্ট জোনে পরিণত হল মণিপাল ইনস্টিটিউট
কোভিড স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নাগরিকদের গা-ছাড়া মনোভাবের ফলেই যে বেড়েছে করোনার প্রকোপ, সে কথা আগেই জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেরকমই নিদর্শন দেখা গেল কর্ণাটকেও। ইতিমধ্যেই করোনার জোয়ারে বানভাসি মহারাষ্ট্রের নাগপুর, মুম্বই সহ অন্যান্য জনবহুল শহরগুলি। অন্যান্য রাজ্যেও লাগাতার বাড়ছে সংক্রমণ। সম্প্রতি কন্টেইনমেন্ট অঞ্চলের আওতায় নাম লেখার কর্ণাটকের মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)।

এমআইটি ক্যাম্পাসে আক্রান্ত ৫৯
কর্ণাটকের উরুপি জেলার এমআইটি প্রাঙ্গনে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, গত ১১-১৬ই মার্চের মধ্যে কলেজ চত্বরে করোনাক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন! এর মধ্যে ১৫ই মার্চে ১৭ জন ও ১৬ই মার্চে ২৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতির কারণে 'কন্টেনমেন্ট জোন' আখ্যা দিয়ে চত্বরকে করোনার আঁতুরঘরে পরিণত হওয়ার থেকে আটকাল উরুপি প্রশাসন।

দু'সপ্তাহের জন্য আটক ক্যাম্পাসের বাসিন্দারা
উরুপি প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্যাম্পসের মধ্যে বসবাসকারী কর্মচারী ও অন্যান্য পড়ুয়াদের প্রায় দু'সপ্তাহ ঘরবন্দি থাকতে হবে। পাশাপাশি কলেজ চত্বরে আটক প্রত্যেকের লাগাতার কোভিড পরীক্ষার কথাও জানিয়েছে কর্ণাটক প্রশাসন। সঠিক কারণ ও প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র না দেখাতে পারলে যে কলেজের কর্মচারীরাও কলেজে প্রবেশ করতে পারবেন না, সে কথা সাফ জানিয়েছে কর্ণাটক সরকার।

বন্ধের মুখে পড়াশোনা
এদিকে ভারতের খ্যাতনামা কলেজগুলির তালিকায় বেশ উপরের দিকে নাম আসে এমআইটির। কলেজ চত্বরে লাগাতার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে পড়াশোনাও প্রায় বন্ধের মুখে। পড়ুয়াদের মতে, এমআইটি কর্তৃপক্ষ অনলাইনে থিওরি ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিলেও হাতেকলমে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস না করতে পেরে সমস্যার মুখে প্রত্যেকেই। পাশাপাশি সূত্রের খবর অনুসারে, এমআইটি ছাড়া কন্টেইনমেন্টের আওতায় নেই অন্য কোনো শিক্ষাঙ্গন।

নতুন করে আক্রান্ত ১,২৭৫
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের রিপোর্ট অনুসারে, কর্ণাটকে নতুন করে করোনাক্রান্ত হয়েছেন ১,২৭৫ জন, মারা গেছেন প্রায় ৪ জন। এখনও পর্যন্ত কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯.৬৩ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১২,৪০৭ জন। পাশাপাশি শুধুমাত্র উরুপি জেলাতেই বুধবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন। করোনাকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য একের পর এক নামজাদা শিক্ষাক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ পড়ুয়া সহ সকল অভিভাবকদের কপালেই।
বঙ্গ ভোটে বাটলা ইনকাউন্টার ইস্যু! সে সময় মমতার স্বভাব কেমন ছিল মনে করালেন মোদী