কলকাতা: মুর্শিদাবাদের নিমতিতায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার সুতির তৃণমূল প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রীয় সংস্থা NIA-এর। বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে NIA। নিমতিতায় মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর বোমা ছোঁড়ার ঘটনায় আগেই এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে সিআইডি। পরে ওই ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

নিমতিতা বিস্ফোরণের তদন্ত নেমে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। কেন্দ্রীয় সংস্থাও পৃথকভাবে ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তে নেমেই এবার ইমানি বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী জাকির হোসেন ও ইমানি বিশ্বাস একই দলের হলেও তাঁদের মধ্যে নানা ক্ষেত্রে মতবিরোধ ছিল।

সূত্রের খবর, NIA এদিন মন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে ইমানি বিশ্বাসের মতবিরোধের বিষয়গুলি নিয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে ইমানি বিশ্বাসকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বিধানসভা ভোটের প্রার্থীকে বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের নিমতিতায় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন। নিজের বিড়ি কারখানা থেকে বের হওয়ার পরেই আক্রান্ত হন শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। নিমতিতা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করেই বোমা ছোড়া হয়। জাকির হোসেনের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও গুরুতর আহত হন বোমাবাজিতে।

গুরুতর আহত অবস্থায় মন্ত্রীকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। এসএসকেমএ অস্ত্রোপচার করা হয় মন্ত্রী জাকির হোসেনের। মন্ত্রী জাকির হোসেন ছাড়াও বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন আরও বেশ কয়েকজন। তাঁদেরও এসএসকেএম হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করা হয়।

আগে পরিকল্পনা করে ও রীতিমতো রেইকি করে জাকির হোসেনের উপর বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে আইনশৃঙ্খলাকে কাঠগড়ায় তুলে রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনায় সরব হয়েছিল বাম-কংগ্রেস।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।