বারাকপুর : “ছেলের প্রকৃত খুনিদের  শাস্তি দেওয়ার জন্য রাজনীতিতে এসেছি” বললেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমনি শুক্লা। তিনি মৃত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার বাবা।
বিধানসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়াই করবেন চন্দ্রমনি শুক্লা, এটা একরকম নিশ্চিত ছিল। এলাকার বিজেপি নেতারা আগেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। প্রার্থী তালিকায় নামটা ওঠার বাকি ছিল।
গত ৪ অক্টোবর একদল দুষ্কৃতী টিটাগড়ে চায়ের দোকানে  বসে থাকা বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে গুলি করে। খুন করে। সেই হামলায় গুলিবিদ্ধ মণীশ শুক্লার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।  এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয় দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ।
মনীশ শুক্লার মৃত্যুর পর থেকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক আবহাওয়া গরম হয়েছে আরও।  মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনার তদন্ত করছে সি আই ডি। এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ও করা হয়েছে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে।
মনীশ শুক্লা খুনের পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা তার বাবা মা র সাথে দেখা করে গেছেন বেশ কয়েকবার। তারপর থেকেই বিজেপির টিকিটে মণীশ শুক্লার বাবা বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন বলে জল্পনা ছিলো রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার চন্দ্রমনি শুক্লার নাম ঘোষণা হতেই মণীশ শুক্লার অনুগামীরা ভিড় করেন তাঁর বাড়িতে। ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমনি শুক্লা বলেন “আমি ডাক্তার মানুষ আমার কাজ মানুষের চিকিৎসা করা কিন্তু আমি বাধ্য হয়েছি রাজনীতিতে আসতে।আমার রাজনীতিতে আসার কয়েকটি উদ্দেশ্য আছে। আমার ছেলে মনীশ কে যারা হত্যা করেছে তাদের শাস্তি দিতে আমার রাজনীতিতে আসা।আমার ছেলে মনীশ ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের মানুষদের জন্য অনেক কাজ করত। আমিও রাজনীতিতে এসেছি ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের মানুষদের সেবা করতে তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমি আশাবাদী যে আমি জিতবো।”
সম্প্রতি মনীশ শুক্লার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দেন। পরে সাংবাদিকদের চন্দ্রমনি শুক্লা জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমার বাড়িতে ওরা প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল, ফোনেও বারবার অনুরোধ করছে যাতে আমি তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করি। কিন্তু ওদের প্রস্তাবে রাজি নই আমি। চন্দ্রমনি শুক্লার এই মন্তব্যের পর ব্যারাকপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করছেন অভিনেতা রাজ চক্রবর্তী। তাঁকে প্রার্থী করার পরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের আলোচনায় এসেছে। ব্যারাকপুর থেকে লড়ছেন সংযুক্ত মোর্চার বামফ্রন্ট প্রার্থী।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।