দোহা: একইদিনে টোকিও অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করলেন চার ভারতীয় প্যাডলার। বৃহস্পতিবার ৩৮ বছর বয়সে চতুর্থবারের জন্য অলিম্পিক যাত্রা নিশ্চিত করলেন অভিজ্ঞ শাটলার শরথ কমল। একইসঙ্গে টোকিওর বিমানে চড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন জি সাথিয়া, মনিকা বাত্রা এবং সুতীর্থ মুখোপাধ্যায়। দোহায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকেই অলিম্পিক গমন নিশ্চিত হল এই চার ভারতীয় প্যাডলারের।
দক্ষিণ এশিয়া গ্রুপে রাউন্ড রবিন লিগের প্রথম ম্যাচে দেশোয়ালি জি সাথিয়ার বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি সাত গেমের লড়াইয়ে হেরে যান শরথ। কিন্তু পাকিস্তানের মহম্মদ রামিজকে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে চতুর্থবারের জন্য অলিম্পিক যাত্রা নিশ্চিত করেন তামিলনাড়ুর প্যাডলার। রাউন্ড-রবিন লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে পাক প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে শরথের পক্ষে ম্যাচের ফল ১১-৪, ১১-১, ১১-৫, ১১-৪। মাত্র ২২ মিনিটের লড়াইয়ের শেষে দেশের প্রথম প্যাডলার হিসেবে অলিম্পিকে স্থান পাকা করেন একাধিক কমনওয়েলথ গেমসে ব্যক্তিগত এবং দলগত বিভাগে সোনাজয়ী এই ভারতীয় প্যাডলার। দ্বিতীয় স্থানই শরথের জন্য যথেষ্ট ছিল অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে জি সাথিয়া প্রথম ম্যাচে শরথ কমলকে থ্রিলার সাত গেমের লড়াইয়ে হারানোর পর রাউন্ড রবিন লিগের শেষ অর্থাৎ দ্বিতীয় ম্যাচেও রামিজকে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে প্রথমবার অলিম্পিক যাওয়া নিশ্চিত করেন। অলিম্পিক যাত্রা নিশ্চিত করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে শরথ কমল জানিয়েছেন, ‘সাথিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটা দুর্দান্ত হয়েছে। আমার কিছু ভুলত্রুটির ফায়দা ও দারুণভাবে নিয়েছে। রামিজের বিরুদ্ধে খেলার আগে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু প্রথম কয়েকটা গেমের পরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমার স্ট্র্যাটেজি ঠিকঠাক কাজ করছে এবং আমি সেটা বজায় রেখে গিয়েছি।’ একইসঙ্গে তাঁর কেরিয়ারের চতুর্থ অলিম্পিক সেরা অলিম্পিক হতে চলেছে বলে দাবি করেন দক্ষিণী প্যাডলার।
এদিকে মহিলা বিভাগে র্যাংকিং’য়ে দেশের শীর্ষ প্যাডলার মনিকা বাত্রাকে হারিয়ে অলিম্পিক যাত্রা নিশ্চিত করলেন সুতীর্থ মুখোপাধ্যায়। এটাই তাঁর প্রথম অলিম্পিক যাত্রা। ৪-২ ব্যবধানে এদিন বাত্রাকে হারান তিনি। দক্ষিণ এশিয়া থেকে মহিলা প্যাডলার হিসেবে অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জন পর্বে এই দুই প্যাডলারই ছিলেন। তাই সুতীর্থর কাছে হেরেও টোকিও যাত্রা আটকায়নি মনিকার। র্যাংকিং’য়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে সুতীর্থর সঙ্গে টোকিওর টিকিট কেটে ফেলেন কমনওয়েলথে সোনাজয়ী প্যাডলার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.