কমিশনের স্বীকৃতি পায়নি আইএসএফ
জানুয়ারি নতুন দল গঠন করেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। নাম দিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি মেলেনি। ফলে বিহারের রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টির নাম আর প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছে ভাইজানের দল। ব্রিগেডের সভায় আব্বাস বলেছিলেন বামেরা তাদের কাছে গেলেও কংগ্রেস দূরত্ব বজায় রেখেছে। যা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।
৪ টি আসন বামেদের ফিরিয়ে দিয়েছেন আব্বাস
বামেদের থেকে ৩০ টি আসন নিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে ভাগাভাগি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে বরাদ্দ হওয়া আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। এখনও পর্।ন্ত ২০ টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পেরেছে তারা। আর ছটি আসনে নামের অংশ এখনও ফাঁকা রয়েছে। বাকি চারটি আসন বামেদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। আব্বাসের দল এখনও যেসব আশনে প্রার্থী দিতে পারেনি, তার মধ্যে রয়েছে ক্যানিং পূর্ব, জাঙ্গিপাড়া, মধ্যমগ্রাম, হাড়োয়া, ময়ুরেশ্বরের মতো আসন। বামেদের জন্য যান কবুল করে দেওয়া আব্বাস সিদ্দিকি বলেছেন, চারটি আসনে বামেরা লড়াই করলে ফল আরও ভাল হতে পারে, সেই চিন্তা করেই আসন ফেরানো হয়েছে।
মহিষাদলে প্রার্থী বিক্রম চট্টোপাধ্যায়
রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টির তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে প্রার্থী করা হয়েছে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। পরিচয়ে তিনি সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটিকর সদস্য সংগ্রাম চট্টোপাধ্যায়ের ভাই। তাঁদের পৈতৃক বাড়ি মহিষাদলেও। বাবা ছিলেন লকশাল নেতা। কলকাতায় পড়াশোনা করতে গিয়ে তিনি এসএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত হন। সেখান থেকে সিপিএম। এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমকে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কলেজে পড়ার সময়ে তিনি সিপিএম সদস্য ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি আব্বাসের দলের সমর্থক।
উদাহরণ প্রবোধ পণ্ডা
নাম একদল আর প্রতীক আরেক দলের, এই প্রসঙ্গে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ডিএসপির প্রবোধ সিনহাও তো সিপিএম-এর প্রতীকে লড়াই করেছেন। তাই বিষয়টি নতুন নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অনেকেই অবশ্য কটাক্ষ করছেন আব্বাস সিদ্দিকির অবস্থান নিয়ে। জেদ ধরেও তাঁকে প্রতীক ভাড়া করতে হচ্ছে, এমন কী প্রার্থীও ভাড়া করতে হচ্ছে সিপিএম-এর থেকে। সিপিএম-এর থেকে সুবিধা নেবেন বলেই কি প্রথম থেকে তিনি সিপিএম-এর প্রতি নরম সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকেই।