নয়াদিল্লি: প্রত্যেকেই ভবিষ্যতের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষত বার্ধক্যকালীন সময়ে আর্থিকভাবে কারও উপর নির্ভর করতে যাতে না হয় সেকারণে সকলেই টাকা জমাতে মন দেন। চাকুরিজীবীরা প্রতি মাসে পেনশন স্কিমে সামান্য কিছু টাকা রাখেন। যাতে বৃদ্ধ বয়সে চলার জন্য প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়।
হিসেব বলছে রাষ্ট্রীয় পেনশন যোজনাতে একবছরে গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুতহারে বৃদ্ধি হয়েছে। ২০২১ এর ফেব্রুয়ারির শেষে এনপিএস এবং অটল পেনশন যোজনায় অ্যাকাউন্টধারীদের সংখ্যা ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পেনশনভোগীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১৫ লক্ষ। বলা হয়েছে, আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৩ কোটি ৪০ লক্ষ। যা ২১.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পিএফআরডিএ-এর তথ্য অনুসারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী অবধি প্রায় ২ কোটি ৭২ লক্ষ ৬৯ হাজার মানুষ অটল পেনশন যোজনায় অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। গত বছর এই স্কিমে খাতাধারকের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭ লক্ষ। এভাবে এক বছরের মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৩১.৪৮ শতাংশ। প্রায় ৬৫ লক্ষ নতুন গ্রাহক হয়েছেন।
লক্ষণীয় বিষয় হল, গত একবছর করোনার জেরে লকডাউন ছিল দেশ। সাধারণ মানুষের আয় কমেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও, অটল পেনশন যোজনায় অ্যাকাউন্ট খোলা লোকের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। আপনিও অটল পেনশন যোজনায় যুক্ত হতে পারেন। যাদের প্রাইভেট চাকরি বা ব্যবসা, তাঁদের জন্য অটল পেনশন যোজনা একটি দুর্দান্ত প্ল্যান।
ভারত সরকার আপনাকে এই প্রকল্পের আওতায় ন্যূনতম পেনশনের গ্যারান্টি দেয়। আপনার বয়স যদি ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে হয়, সেক্ষেত্রে আপনি এই স্কিম করাতে পারেন। এক্ষেত্রে ৬০ বছর বয়স অবধি আপনাকে নির্দিষ্ট টাকা দিতে হবে। এরপর ৬০ বছর হয়ে গেলে প্রতি মাসে পেনশন হিসাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন।
স্কিম অনুসারে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকাও আপনি ভবিষ্যতে পেতে পারেন। সেটা আপনার জমানোর ওপর নির্ভর করে। যদি কোনও জুবা ১৮ বছর থেকেই ২১০ টাকা করে জমা দেন, সেক্ষেত্রে ৬০ বছর পর তিনি মাসে ৫০০০ টাকা করে পাবেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.