দুর্গাপুর: ফের বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষ। শহরের ভূমিপুত্র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রার্থী হিসেবে চাইছেন দুর্গাপুরের মানুষ। এই ইস্যুতে দুর্গাপুরে বিজেপির দলীয় প্রধান কার্যালয়ের সামনে তুমুল বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। তালা দিয়ে দেওয়া হয় দলীয় প্রধান কার্যালয়ে।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দুর্গাপুর পূর্বের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কর্নেল দীপতাংশু চৌধুরীর নাম ঘোষণা করে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রার্থী ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্গাপুররে ইস্পাত নগরীর ৩১ নম্বর দলীয় মূল কার্যালয়ের সামনে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী লক্ষণ ঘোড়ুইকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা স্পষ্ট জানান দুর্গাপুর পূর্বের বিজেপি প্রার্থী কর্নেল দীপতাংশু চৌধুরীকে তাঁরা চান না। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে স্লোগান। বিজেপি কর্মীদের দাবী, তৃণমূল থেকে আসা দলত্যাগী এই নেতাকে প্রার্থী করা যাবে না। প্রার্থী করতে হবে দুর্গাপুরের ভূমিপুত্র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নচেৎ তাঁরা ভোটে তো লড়বেন না। প্রয়োজনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্গাপুর পূর্ব থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানো হবে। এই ঘটনার পর দুর্গাপুর পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই জানান, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে গোটা জানানো হবে।

এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে বহিরাগত প্রার্থী মানতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিক্ষোভের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি পোড়ানো হয়। পাশাপাশি রাস্তা অবরোধও করেন বিক্ষোভকারীরা। বাসুদেবপুর মোড় অবরোধ করা হয়।

কিছুদিন থেকেই প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে রাজ্যের কোথাও কোথাও। পছন্দসই প্রার্থী না হওয়ায় কিছুদিন আগে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের মধ্যেই ক্ষোভের চিত্র ধরা পড়ে। উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুমিত রঞ্জন কাঁড়ারকে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক। রবিবার সন্ধ্যায় পেঁড়োর খালপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। তাদের দাবি, উদয়নারায়ণপুরে তারা সুমিত রঞ্জন কাঁড়ারকে প্রার্থী হিসাবে মানবেন না। অবিলম্বে ভোলা সামুইকে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।