ভ্যাটিকাল সিটি: মায়ানমারের রক্তপাত বন্ধ করার আবেদন জানালেন ভ্যাটিকান সিটির পোপ ফ্রান্সিস। বুধবার তিনি আবেদন করেন “আমি মায়ানমারের রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা করব যাতে হিংসা বন্ধ হয়।” করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে ভ্যাটিকান লাইব্রেরি থেকে এই আবেদন করেন পোপ।
মায়ানমারে প্রায় ১৮০ প্রতিবাদকারী নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে মারা গিয়েছেন। পোপ বলেছেন, “আরও একবার দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি মায়ানমারের নাটকীয় পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলা জরুরি। অনেক মানুষ, বিশেষ করে যুব সমাজ দেশের প্রতি আশান্বিত করে তাদের প্রাণ হারাচ্ছে। আমি মায়ানমারের রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে বলতে রাজি আছে যে হিংসার শেষ হোক!” ফ্রান্সিস একটি ভিডিও ও ফটোগ্রাফের কথা তুলে ধরেছেন। সেখানে এক ক্যথলিক নান বা সন্ন্যাসিনী হাঁটু গেড়ে বসে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ আবেদন করছেন যাতে প্রতিবাদকারীদের না মারা হয়। এই ছবি ও ভিডিওটি ইন্টারনেটে এখন ভাইরাল।
With great sorrow, I must recall the dramatic situation in #Myanmar, where many people, especially young people, are losing their lives to offer hope to their country. I too kneel in the streets of Myanmar and say: End the violence! May dialogue prevail!
— Pope Francis (@Pontifex) March 17, 2021
ওই সন্ন্যাসিনীর নাম সিস্টার আন রোজ নিউ তাওয়াং। তিনি পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন সেদিন তিনি পুলিশের কাছে আবেদন করছিলেন যাতে তাঁর সন্তানদের উপর গুলি না চালানো হয়। বৌদ্ধদের এই দেশে ৮ লক্ষেরও কম রোমান ক্যাথলিক রয়েছেন। ২০১৭ সালে ফ্রান্সিস মায়ানমারে গিয়েছিলেন। এখন সেই দেশের পরিস্থিতি দেখে তিনি বলেছেন, “রক্ত কখনও কিছু সমাধান করতে পারে না।” মায়ানমারের রোমান ক্যাথলিক নেতা চার্লস মাউং বো-ও এই রক্তপাত বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন।
এক নজরে মায়ানমারের সেনা শাসন:
মায়ানমারে ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক সরকার শাসন চলেছিল। রক্তাক্ত সেনা শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে নেমে ১৯৮৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত গৃহবন্দি ছিলেন সু কি। ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সু কি ক্ষমতায় আসেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে তাঁর দল বিপুল জয় পায়। এর পরেই দেশের ক্ষমতা জবর দখল করে সেনা।
মায়ানমারে নির্বাচিত সরকারের সর্বমময় নেত্রী থাকার সময় সু কি নীরব ছিলেন রোহিঙ্গা নির্যাতন বিষয়ে। সেনার ভূমিকাকে সমর্থন করেছিলেন। এই কারণে, আন্তর্জাতিক মহলে ধীকৃত হন নোবেল জয়ী নেত্রী। মনে করা হচ্ছিল তিনি বর্মী সেনার হাতের পুতুল হয়েছেন। অবশেষে গত সোমবার থেকে তিনি গৃহবন্দি। ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.