কলকাতা: আজকাল নানা মানসিক চাপের মধ্যে থেকে আমরা নিজেদের প্রতি মুখ তুলে তাকানোর সময় পাই না বলতে গেলে। তাই ব্যাহত হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য। অথচ নিজের যত্ন তো ১৫ মিনিটেও নেওয়া যায়। নতুন গবেষণা এমনটাই বলছে। আমরা তো আজকাল একটু হাসিমুখে থাকতেও ভুলে গেছি। টেনশন আমাদের সব হাসিই কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু এই হাসির উপকারিতা জানলে আজ থেকেই আপনারা মন খুলে হাস্তে থাকবেন। কারণ এই হাসির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দীর্ঘায়ু। হার্ট থাকবে চাঙ্গা। এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, হাসলে আমাদের আয়ু এই কারণে বাড়ে যে এতে হার্ট ভাল থাকে। আবার হাসিতে নাকি কমে ওজনও। শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিজের থেকেই বাড়ে এতে। খাবার ঠিকমতো হজম হতে পারে। ফুসফুস ঠিক থাকায় আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসও স্বাভাবিক হয়। আবার হাসিতেই মিলিয়ে যায় অনেক রকম ব্যথা।
যাদের জীবনে হাস্যরসের রয়েছে প্রাচুর্য এবং যারা জীবন সম্পর্কে সবসময় ভালো কিছু ভাবতে ভালোবাসে, তারা বাকিদের থেকে ৫৫ শতাংশ বেশি বাঁচতে পারে, এমন তথ্য এসেছে সামনে। তবে এর জন্যে যে আপনাকে খুব কষ্ট করতে হবে তা নয়। দিনে মাত্র ১৫ মিনিট হাসলেই কাজ হবে। কারণ হাসলে শরীরে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। মানসিক উত্তেজনায় কমে যায়। মন খুলে হাসলে তার জন্যে আবার স্ট্রেস হরমোন কমে।
সোরোটিন হলো একটি হ্যাপি হরমোন যা মানবদেহে নানা আচরণ পরিবর্তনের কাজটিকে পরিচালনা করে থাকে। এই সোরোটিন মস্তিষ্কে ভাল থাকার একটি অনুভূতি পৌঁছে দেয়। ফলে মন থেকে হাসতে পারেন অনায়াসেই। আর এই মস্তিষ্কই কিন্তু পুরো শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সুতরাং, বাড়িতে একটু ওয়ার্ক আউট করে তারপর সূর্যের তাপ লাগান গায়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এতে নাকি আমাদের শরীরে সেরোটোনিন নিঃসরণ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। প্রতিদিন রোদে ৩০ মিনিট বসলেই আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হবেন। মনকে ভালো রাখলেই বাড়বে আয়ু।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.