কলকাতা: বিমল গুরুংয়ের গ্রেফতারি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলা দায়ের করলেন বিজেপি নেতা পঙ্কজ শর্মা।
পাহাড়ে সরকারি বাংলোতে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে পুলিসকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক ফৌজদারি মামলা রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করে নেন। তার উপর তৃণমূল কংগ্রেস পাহাড়ের তিনটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিমল গুরুংদের জন্য। একসময় বিমল গুরুংকে খুঁজতে কলকাতা থেকে একাধিক দুঁদে অফিসারদের পাঠিয়েছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বও তাঁকে খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। সেই বিমল গুরুংই আবার প্রকাশ্য দিবালোকে কলকাতায় আসেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান বলে সংবাদ মাধ্যমে জানান। এরপরই তাঁর দলের বিরুদ্ধে থাকা একাধিক ফৌজদারি মামলা রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করে নেয়।
এবার অবিলম্বে বিমল গুরুংকে গ্রেফতার করতে হবে এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিভি রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। জরুরী ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী পঙ্কজ শর্মা। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
২০১৭ সালে দার্জিলিঙে অশান্তির ঘটনার জেরে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা রুজু করেছে রাজ্য পুলিশ। গুরুঙের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মী অমিতাভ মালিককে খুনের মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক মামলায় অভিযুক্ত গুরুং। কলকাতায় আসার পর গোর্খা ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ভবনের সামনে গাড়িতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও ভিতরে ঢুকতে না পারায় সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি গুরুংকে। সোজা গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান মোর্চা নেতা। গুরুংয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ-সহ ১৩৮টি মামলা রয়েছে। অথচ ৩ বছর পর তাঁকে নাগালে পেয়েও এদিন ধরতে চেষ্টাই করেনি। গুরুয়ের গোর্খা ভবনের সামনে উপস্থিত হওয়া থেকে চলে যাওয়া পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্মীরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.